Friday, May 2, 2025

নৌকা মার্কাকে দেশ থেকে বিতাড়িত করতে হবে: নাহিদ ইসলাম

ঢাকা, ২ মার্চ ২০২৫: জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম আওয়ামী লীগকে একটি রাজনৈতিক দল নয়, বরং “ফ্যাসিস্ট সন্ত্রাসী সংগঠন” হিসেবে আখ্যায়িত করে এটিকে নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়েছেন। শুক্রবার বিকেলে বায়তুল মোকাররম মসজিদের দক্ষিণ গেটে এনসিপি আয়োজিত এক সমাবেশে তিনি বলেন, “আওয়ামী লীগের নৌকা মার্কাকে এ দেশ থেকে বিতাড়িত করতে হবে।”

অন্তর্বর্তী সরকারের আওয়ামী লীগের বিচারে ব্যর্থতার জন্য হতাশা প্রকাশ করে নাহিদ বলেন, “আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে রাজপথে নামতে হচ্ছে, এটি আমাদের সামষ্টিক ব্যর্থতা। অন্তর্বর্তী সরকার বিচার নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়েছে, আসামিরা জামিনে মুক্তি পাচ্ছে।”
তিনি আওয়ামী লীগের নিবন্ধন অবিলম্বে বাতিল এবং বিচার প্রক্রিয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত দলটির কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার জন্য আইন প্রণয়নের দাবি জানান। নাহিদ অভিযোগ করেন, গত ১৬ বছর ধরে আওয়ামী লীগের ফ্যাসিবাদী শাসনে জনগণ রাস্তায় নামতে পারেনি, শুধুমাত্র ছাত্র আন্দোলনের মাধ্যমে প্রতিবাদ সম্ভব হয়েছিল। তিনি বলেন, “মুজিববাদ ও ১৯৭২ সালের সংবিধানের মাধ্যমে বাংলাদেশকে ভারতের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে, ভাষার অধিকার হরণ করা হয়েছে এবং অর্থনীতিকে লুটেরাদের হাতে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।”
নাহিদ নতুন সংবিধান প্রণয়নের জন্য গণপরিষদ নির্বাচনের দাবি জানান এবং আগামী নির্বাচনে গণপরিষদ ও জাতীয় সংসদ নির্বাচন একসঙ্গে অনুষ্ঠানের প্রস্তাব করেন।
সাংবাদিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “যারা শেখ হাসিনার বিচারের বিরোধিতা করছেন, তারা সাংবাদিক নয়, তারা আওয়ামী লীগের দোসর।” তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের সমালোচনা করে বলেন, জুলাইয়ের শহীদ ও আহতদের যথাযথ মর্যাদা দেওয়া হয়নি।
নির্বাচন সংস্কার কমিশনের আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধকরণের বিষয়ে সুস্পষ্ট অবস্থান না নেওয়ার বিষয়ে প্রশ্ন তুলে নাহিদ বলেন, “নির্বাচন কমিশন কার স্বার্থ রক্ষা করছে?” তিনি “জুলাই সনদ” প্রণয়নের মাধ্যমে রাজনৈতিক ঐকমত্য গড়ে তোলার এবং এতে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধকরণের বিষয়টি সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ করার দাবি জানান। এ লক্ষ্যে তিনি পাড়ায় পাড়ায় ফ্যাসিবাদবিরোধী মঞ্চ গড়ে তোলার আহ্বান জানান।

এ.আই/এম.আর

Share This Post

শেয়ার করুন

Author:

Note For Readers: The CEO handles all legal and staff issues. Claiming human help before the first hearing isn't part of our rules. Our system uses humans and AI, including freelance journalists, editors, and reporters. The CEO can confirm if your issue involves a person or AI.