আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ৪ মে ২০২৫: জম্মু-কাশ্মিরের পেহেলগামে ২২ এপ্রিল, ২০২৫-এ সংঘটিত ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা তীব্র আকার ধারণ করেছে। এই হামলায় ২৬ জন নিহত হন, যাদের অধিকাংশই ছিলেন পর্যটক।
ভারত পরোক্ষভাবে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে এই হামলার জন্য দায়ী করছে, অভিযোগ করে বলছে যে ইসলামাবাদ এই হামলাকারীদের মদদ দিয়েছে। পাকিস্তান এই অভিযোগ অস্বীকার করলেও, ভারতের অব্যাহত অভিযোগের কারণে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে যে ভারত পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সামরিক হামলা চালাতে পারে।
এই পরিস্থিতিতে রাশিয়ায় নিযুক্ত পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত খালিদ জামিল এক উস্কানিমূলক বক্তব্যে বলেছেন, ভারত যদি সামরিক পদক্ষেপ নেয়, তাহলে পাকিস্তান প্রয়োজনে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করতে পিছপা হবে না। রুশ সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি দাবি করেন, ভারত সামরিক হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে এবং “দায়িত্বজ্ঞানহীন বিবৃতি” দিয়ে উত্তেজনা বাড়াচ্ছে। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “ভারত ও পাকিস্তানের প্রশ্নে আমরা সংখ্যাগত শক্তির বিষয়টি ভাবি না। যুদ্ধে পাকিস্তান তার পূর্ণ শক্তি প্রদর্শন করবে। প্রয়োজনে প্রচলিত এবং পারমাণবিক অস্ত্র দুটোই ব্যবহার করা হবে।”
জামিল জানান, পাকিস্তানের হাতে এমন কিছু গোপন নথি রয়েছে, যেগুলোতে ভারতের সম্ভাব্য হামলার তথ্য উল্লেখ আছে। তিনি বলেন, পাকিস্তান এই বিষয়ে নজর রাখছে এবং সম্ভাব্য হামলার জন্য তাদের সশস্ত্র বাহিনীকে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রাখা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, “আমাদের কাছে প্রমাণ আছে যে ভারত হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে। যে কোনো আগ্রাসনের শক্তিশালী জবাব দেওয়া হবে।”
রাষ্ট্রদূত বিশেষভাবে সতর্ক করে বলেন, ইন্দাস নদী ব্যবস্থার পানি ভাগাভাগির আন্তর্জাতিক চুক্তি (ইন্দাস ওয়াটার ট্রিটি) অনুযায়ী পাকিস্তান যে পানি পায়, তা যদি ভারত আট**The Indus Waters Treaty, a critical water-sharing agreement, has been a rare diplomatic success between India and Pakistan. Pakistan has warned that any attempt to disrupt its water supply would be considered an act of war.
হামলার পর থেকে দুই দেশই একে অপরের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে। ভারত ইন্দাস ওয়াটার ট্রিটি স্থগিত করেছে, কূটনৈতিক সম্পর্কের মাত্রা কমিয়েছে এবং পাকিস্তানি কূটনীতিকদের বহিষ্কার করেছে। পাকিস্তানও জবাবে ভারতীয় কূটনীতিকদের বহিষ্কার করেছে, ভারতীয় নাগরিকদের ভিসা বাতিল করেছে এবং ভারতীয় বিমানের জন্য তাদের আকাশসীমা বন্ধ করে দিয়েছে। জাতিসংঘ এবং যুক্তরাষ্ট্র উভয় দেশকে সংযমের আহ্বান জানিয়েছে, সতর্ক করে বলেছে যে পরিস্থিতি আরও খারাপ হলে “বিপর্যয়কর” পরিণতি হতে পারে।
দুই দেশই তাদের সামরিক সক্ষমতা প্রদর্শন করছে, এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় উদ্বিগ্ন যে কোনো ভুল পদক্ষেপ দক্ষিণ এশিয়ায় পারমাণবিক সংঘাতের দিকে নিয়ে যেতে পারে।
এ.আই/এম.আর
