Sunday, May 4, 2025

হাসনাত আব্দুল্লাহর ওপর হামলার প্রতিবাদে ঢাবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবি

 

ঢাকা,৪ মে ২০২৫: গাজীপুরে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহর গাড়িতে হামলার ঘটনার প্রতিবাদে এবং আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করেছে। রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের হল এলাকা থেকে শুরু হওয়া বিক্ষোভ মিছিলটি ভিসি চত্বর হয়ে রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে একটি সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মিলিত হয়।

বিক্ষোভের সময় শিক্ষার্থীরা ‘হাসনাত ভাই আমার ভাই, আহত কেন, ইন্টারিম জবাব দে’, ‘জুলাইয়ের রক্ত বৃথা যেতে দেব না’, ‘ব্যান আওয়ামী লীগ’, এবং ‘ইনকিলাব জিন্দাবাদ’ স্লোগান দেন। সমাবেশে হাসনাতের ওপর হামলার নিন্দা জানিয়ে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হামলাকারীদের গ্রেপ্তার ও আওয়ামী লীগকে অবিলম্বে নিষিদ্ধ করার দাবি উত্থাপিত হয়।
সমাবেশে বক্তারা হাসনাত আব্দুল্লাহর রাজনৈতিক ভূমিকার গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, “হাসনাত আব্দুল্লাহ অনেক জাতীয় নেতার চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। আওয়ামী লীগ ও ভারত প্রশ্নে তিনি কঠোর অবস্থান ধরে রেখেছেন।” তারা হামলাকারীদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তার এবং আওয়ামী লীগের নিষিদ্ধকরণের দাবি পুনর্ব্যক্ত করেন।
আইন বিভাগের শিক্ষার্থী রোজোয়ান আহমেদ রিফাত বলেন, “আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ কোনো রাজনৈতিক সংগঠন নয়। আমরা তাদের চাঁদাবাজ, লুটেরা হিসেবে জানি। জুলাই অভ্যুত্থানে তারা দুই হাজার মানুষ হত্যা করেছে। তারা সন্ত্রাসী সংগঠন। আমরা তাদের রাজনীতিতে নয়, বাংলাদেশেই দেখতে চাই না।”
সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী হাসিব আল ইসলাম বলেন, “হাসনাতের ওপর হামলা মানে পুরো জুলাই আন্দোলনের ওপর হামলা। সরকার এটি প্রতিহত করতে ব্যর্থ হয়েছে। তাদের অবিলম্বে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ ঘোষণা করা উচিত।” তিনি আরও বলেন, “দিল্লির প্রেসক্রিপশনে এ দেশে কোনো রাজনীতি হবে না। জুলাই প্রোক্লেমেশন ঘোষণা না হলে ছাত্র-জনতা জুলাই অভ্যুত্থানের মতো আবারও রাজপথে নেমে আসবে।”
প্রতিবাদটি জুলাই আন্দোলনের উত্তরাধিকার দমনের প্রচেষ্টা হিসেবে দেখছেন শিক্ষার্থীরা। জানা গেছে, হামলার ঘটনায় দুজনকে আটক করা হয়েছে এবং পুলিশ সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে অন্যদের শনাক্ত করছে।
এ.আই/এম.আর

Share This Post

শেয়ার করুন

Author:

Note For Readers: The CEO handles all legal and staff issues. Claiming human help before the first hearing isn't part of our rules. Our system uses humans and AI, including freelance journalists, editors, and reporters. The CEO can confirm if your issue involves a person or AI.