ঢাকা, ৬ মে ২০২৫: অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ আজ মঙ্গলবার সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৫-এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে। এই অধ্যাদেশে ইন্টারনেটকে নাগরিকদের মৌলিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে, অনলাইন জুয়াকে সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ব্যবহার করে সংঘটিত সাইবার অপরাধকে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে বিবেচনার বিধান রাখা হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ এই খসড়া উপস্থাপন করে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বৈঠকের আলোচনা ও লেজিসলেটিভ বিভাগের ভোটের মাধ্যমে এই খসড়া অনুমোদিত হয়েছে।
নতুন এই অধ্যাদেশে ইন্টারনেটকে নাগরিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার মাধ্যমে সবার জন্য ডিজিটাল সুবিধা নিশ্চিত করার লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। এছাড়া, অনলাইন জুয়ার ক্রমবর্ধমান প্রভাব রোধে কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। পাশাপাশি, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার অপব্যবহারের মাধ্যমে সাইবার অপরাধ, যেমন হ্যাকিং, ডেটা চুরি বা প্রতারণার ঘটনাগুলোকে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
সরকারের একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, এই অধ্যাদেশ সাইবার স্পেসে নিরাপত্তা জোরদার করার পাশাপাশি গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও বাকস্বাধীনতা সুরক্ষায় ভূমিকা রাখবে। তবে, ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) সহ কিছু সংগঠন এই অধ্যাদেশের কিছু ধারা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তারা মনে করে, এতে বাকস্বাধীনতা ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা খর্ব হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।
অধ্যাদেশটি এখন আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে চূড়ান্ত রূপ পাবে এবং এর বাস্তবায়ন নিয়ে সরকার পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।