ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক, ৬ মে, ২০২৫: জম্মু-কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার পর পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কে টানাপোড়েন চলছে। এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দেশের বেশ কয়েকটি রাজ্যকে জরুরি অবস্থার জন্য প্রস্তুতি হিসেবে মক ড্রিলের নির্দেশ দিয়েছে। আগামীকাল, ৭ মে, বুধবার এই মহড়া অনুষ্ঠিত হবে।
মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে মহড়ার মূল বিষয়গুলোর মধ্যে রয়েছে: সরকারি দপ্তরে বিমান হামলার সতর্কতা সাইরেন সক্রিয় করা, সাধারণ নাগরিক ও শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার জন্য মক ড্রিলে অংশ নেওয়া, হঠাৎ ব্ল্যাকআউটের সময় করণীয় সম্পর্কে প্রশিক্ষণ, সাইরেন বাজলে ঘরে ঢুকে দরজা-জানলা বন্ধ করা, সমস্ত আলো ও ইলেকট্রনিক ডিভাইস বন্ধ করে ব্ল্যাকআউট করা, এবং গুজবে কান না দেওয়া বা গুজব ছড়ানো থেকে বিরত থাকা।
দেশের ২৪৪টি জেলায় এই মহড়া চলবে, যার মধ্যে গ্রামীণ এলাকাও অন্তর্ভুক্ত। পশ্চিমবঙ্গের কলকাতাসহ ২৩টি জেলার ৩১টি স্থানে মক ড্রিল অনুষ্ঠিত হবে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধ বাধলে নাগরিকদের নিজেদের ও পরিবারের সুরক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় কৌশল শিখতে হবে। ভারতীয় সেনাবাহিনী ও স্থানীয় প্রশাসন এই প্রশিক্ষণ প্রদান করবে। মোদি সরকারের বক্তব্য, যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে দেশ রক্ষার দায়িত্ব কেবল সেনাবাহিনীর নয়, গোটা দেশবাসীর।
১৯৭১ সালের ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের পর এটিই প্রথম এমন ব্যাপক মহড়া। দুই পারমাণবিক শক্তিধর দেশের মধ্যে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মধ্যে এই উদ্যোগ যুদ্ধের সম্ভাবনা নিয়ে উদ্বেগ বাড়িয়েছে।
এ.আই/এম.আর