Friday, May 2, 2025

৬০-৭০ টাকার নিচে মিলছে না সবজি, বেড়েছে মুরগির দাম

ঢাকা, ২ মে ২০২৫ : গ্রীষ্মকালীন সবজির সরবরাহ কম থাকায় ঢাকার বাজারে সবজি ও মুরগির দাম বেড়েছে, যা ভোক্তাদের জন্য অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করছে। 

শুক্রবার (২ মে) উত্তরার আজমপুর এবং খিলক্ষেতের কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, বেশিরভাগ সবজির দাম এখন কেজিপ্রতি ৬০ টাকার উপরে, এবং পছন্দের সবজি ৭০ টাকার নিচে পাওয়া যাচ্ছে না। এর সঙ্গে গত এক সপ্তাহে মুরগির দাম কেজিতে ১০-৩০ টাকা বেড়েছে।

বাজারে করলা ৬০-৮০ টাকা, বেগুন ৭০-১০০ টাকা, বরবটি ৭০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০-৮০ টাকা, কচুর লতি ৭০ টাকা, কাঁকরোল ১০০ টাকা, ঢেঁড়স ৫০-৭০ টাকা, ঝিঙে ৭০-৮০ টাকা এবং টমেটো ৩০-৪০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। অন্যান্য সবজির মধ্যে পেঁপে ৭০ টাকা, গাজর ৪০ টাকা, শসা ৫০-৬৫ টাকা, পটোল ৫০-৬০ টাকা এবং সজনে ডাটা ১২০-১৪০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। চালকুমড়া ও লাউ প্রতিটি ৪০-৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দাম বাজার ও সবজির মান-আকারের ওপর নির্ভর করে কিছুটা কমবেশি হচ্ছে।
ব্যবসায়ীরা জানান, গ্রীষ্মকালীন সবজির সরবরাহ এখনো পুরোপুরি শুরু হয়নি, আর শীতকালীন সবজির সরবরাহ প্রায় শেষ। আজমপুরের বিক্রেতা সাদ্দাম হোসেন বলেন, “শীতের সবজি শেষ, গ্রীষ্মের সবজি সবে বাজারে আসছে। সরবরাহ বাড়লে দাম কমবে, তবে টানা বৃষ্টি হলে দাম আরও বাড়তে পারে।” খিলক্ষেতের আনিস বলেন, “এ সময়ে ভালো সবজি ৭০ টাকার নিচে পাওয়া যায় না।”
মুরগির বাজারেও অস্থিরতা। ব্রয়লার মুরগি ১৮০-১৯০ টাকা, সোনালি মুরগি ২৭০-২৮০ টাকা, দেশি মুরগি ৬৫০-৬৮০ টাকা, সাদা লেয়ার ২৮০ টাকা, লাল লেয়ার ৩৩০ টাকা এবং হাঁস ৬০০-৭০০ টাকা প্রতি পিস বিক্রি হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, সরবরাহ কমে যাওয়ায় দাম বেড়েছে।
তবে গরু ও খাসির মাংসের দাম স্থিতিশীল। গরুর মাংস ৭৫০-৮০০ টাকা, খাসির মাংস ১২০০ টাকা এবং ছাগলের মাংস ১১০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। আলু ২০-২৫ টাকা, আদা ১২০ টাকা, আমদানি রসুন ১৮০-২২০ টাকা এবং দেশি রসুন ৮০-১০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। মাছের দাম অপরিবর্তিত, রুই ৩৫০-৪২০ টাকা, কাতল ৩৮০-৪৫০ টাকা, চাষের শিং ৫৫০ টাকা, মাগুর ৫০০ টাকা, কৈ ২০০-২৫০ টাকা, কোরাল ৭৫০ টাকা, পাঙাশ ১৮০-২৩০ টাকা এবং তেলাপিয়া ১৫০-২২০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
ক্রেতারা অভিযোগ করছেন, ব্যবসায়ীরা গরমের সুযোগ নিয়ে সিন্ডিকেট করে দাম বাড়াচ্ছেন। ক্রেতা রেজাউল করিম বলেন, “সবকিছুর দাম বাড়তি। আমাদের মতো সাধারণ মানুষের কিছু করার নেই। বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারের কঠোর পদক্ষেপ প্রয়োজন।”

এ.আই/এম.আর

Share This Post

শেয়ার করুন

Author:

Note For Readers: The CEO handles all legal and staff issues. Claiming human help before the first hearing isn't part of our rules. Our system uses humans and AI, including freelance journalists, editors, and reporters. The CEO can confirm if your issue involves a person or AI.