আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ফিজিতে কর্মরত ২৬ জন বাংলাদেশি শ্রমিক তাদের জীবনযাত্রার মান নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তাদের অভিযোগের ভিত্তিতে ফিজির প্রধানমন্ত্রী সিটিভেনি রাবুকা তাৎক্ষণিকভাবে দুই মন্ত্রীকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন।
প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশটির সেন্ট্রাল ডিভিশনের একটি সুপার মার্কেটে এই শ্রমিকদের সঙ্গে সাক্ষাৎ হয় রাবুকার। সেখানে তারা জানান, তাদের জীবনযাত্রার মান সন্তোষজনক নয়, পর্যাপ্ত খাবার পাওয়া যায় না, এবং নিয়োগ চুক্তি লঙ্ঘিত হয়েছে। শ্রমিকদের এই অভিযোগ শুনে প্রধানমন্ত্রী বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নিয়ে কেন্দ্রীয় কর্মসংস্থানমন্ত্রী ও অভিবাসন বিষয়ক মন্ত্রীকে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দেন।
প্রধানমন্ত্রী রাবুকা বলেন, “কোনো শ্রমিকেরই এমন পরিবেশে বসবাস করা উচিত নয়, যা তাদের মর্যাদার সঙ্গে যায় না।” তিনি নিয়োগদাতাদের উদ্দেশ্যে বলেন, “আইন মেনে চলা এক বিষয়, কিন্তু শ্রমিকদের অধিকার রক্ষা করাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”
ফিজির স্থানীয় শ্রমিকদের কল্যাণ নিশ্চিত করতে দেশটি বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করে আসছে। প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, তার সরকার কোনো শ্রমিকের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ বরদাশত করবে না এবং তাদের মৌলিক চাহিদা নিশ্চিত করা জরুরি।
বাংলাদেশি শ্রমিকদের অভিযোগের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো—তারা পর্যাপ্ত খাবার পান না, তাদের থাকার পরিবেশ মানসম্মত নয়, এবং কর্মসংস্থান চুক্তির শর্তাবলী লঙ্ঘিত হয়েছে। এর ফলে তারা ফিজিতে কাজ করতে গিয়ে নানা সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন।
অস্ট্রেলিয়ায় বাংলাদেশ দূতাবাসের তথ্যানুযায়ী, ফিজিতে প্রায় পাঁচ হাজার বিদেশি শ্রমিক কাজ করেন, যাদের মধ্যে অর্ধেকের বেশি বাংলাদেশি। এছাড়া ভারত, ফিলিপাইন, ইন্দোনেশিয়া ও চীনের শ্রমিকরাও সেখানে কর্মরত রয়েছেন।
এ আই/এম.আর