আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ৭ মে ২০২৫ : মার্কিন নৌবাহিনীর আরেকটি এফ/এ-১৮ সুপার হর্নেট যুদ্ধবিমান লোহিত সাগরে হারিয়ে গেছে। বিমানবাহী রণতরী ইউএসএস হ্যারি এস. ট্রুম্যানে অবতরণের চেষ্টাকালে বিমানটি সমুদ্রে বিধ্বস্ত হয়। মাত্র এক সপ্তাহের মধ্যে এটি একই রণতরী থেকে হারানো দ্বিতীয় যুদ্ধবিমান এবং পাঁচ মাসে তৃতীয়। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন এ তথ্য জানিয়েছে।
ঘটনাটি ঘটে মঙ্গলবার (৬ মে), যখন বিমানটি রণতরীর রানওয়েতে থামতে ব্যর্থ হয়ে সমুদ্রে পড়ে যায়। পাইলট ও অস্ত্র ব্যবস্থা কর্মকর্তা নিরাপদে বিমান থেকে বেরিয়ে আসেন এবং হেলিকপ্টারে উদ্ধার হন। তাদের সামান্য আঘাত লেগেছে। ৬০ মিলিয়ন ডলারের (প্রায় ৭২৯ কোটি টাকা) এই বিমানটি এখনও উদ্ধার করা যায়নি। তদন্ত চলছে।
একই দিন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইয়েমেনে বিমান হামলা বন্ধের ঘোষণা দেন, দাবি করে বলেন, হুতি বিদ্রোহীরা মার্কিন জাহাজে হামলা বন্ধের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। তবে হুতিরা ওই দিন ট্রুম্যানে হামলার চেষ্টা করেছিল বলে জানা গেছে। পেন্টাগন স্পষ্ট করেছে, বিমানটি হুতি হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি।
গত ২৮ এপ্রিল আরেকটি সুপার হর্নেট হুতি ক্ষেপণাস্ত্র এড়াতে রণতরীর তীব্র বাঁকের সময় সমুদ্রে পড়ে। গত ডিসেম্বরে ইউএসএস গেটিসবার্গের ভুলবশত গুলিতে আরেকটি বিমান ভূপাতিত হয়। এই ঘটনায়ও দুই পাইলট নিরাপদে বেরিয়ে আসেন।
ইয়েমেনের হুতিরা ২০২৩ সালের নভেম্বর থেকে গাজায় ইসরাইলি হামলার প্রতিবাদে ইসরাইলি জাহাজে হামলা শুরু করে। তারা ইউএসএস হ্যারি এস. ট্রুম্যান ও ইউএসএস কার্ল ভিনসনের মতো মার্কিন রণতরীতেও ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে। মার্কিন বাহিনী হুতিদের হাতে ২২টি এমকিউ-৯ রিপার ড্রোন হারিয়েছে, প্রতিটির মূল্য ৩০ মিলিয়ন ডলার (প্রায় ৩৬৪ কোটি টাকা)।
২০২৫ সালের মার্চ থেকে মার্কিন বাহিনী হুতি লক্ষ্যবস্তুতে ১০০০টির বেশি হামলা চালিয়েছে। তবে হুতিদের প্রতিরোধ ও উচ্চ আর্থিক ক্ষতির কারণে এই অভিযানের কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।