ঢাকা, ৬ মে, ২০২৫: প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস তরুণদের তাদের স্বপ্নকে বাস্তবে রূপান্তরিত করতে এবং সমাজে অর্থবহ পরিবর্তন আনতে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে আরও বেশি অংশগ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন।
মঙ্গলবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় নরওয়ের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের একদল তরুণ রাজনৈতিক কর্মীর সঙ্গে সাক্ষাতের সময় তিনি এই আহ্বান জানান। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের পাঠানো বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়।
তরুণদের উৎসাহিত করে ইউনূস বলেন, “আমরা তরুণদের রাজনীতিতে যোগদানের জন্য উৎসাহিত করছি; অন্যথায় তারা নীতি নির্ধারণে সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে পারবে না।” তিনি সফররত কর্মীদের রাজনৈতিক পটভূমি, দৃষ্টিভঙ্গি এবং কর্মকাণ্ড সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেন এবং নরওয়ের মূলধারার রাজনীতিতে তরুণদের অংশগ্রহণের হার সম্পর্কেও প্রশ্ন করেন।
নরওয়ের প্রতিনিধিরা বাংলাদেশের তরুণদের সঙ্গে সাক্ষাতের অভিজ্ঞতা ভাগ করে বলেন, অনেক তরুণ বাংলাদেশি তাদের জীবনে কখনো ভোট দিতে পারেননি। তারা জানতে চান, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার তরুণদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে কী পদক্ষেপ নিচ্ছে।
জবাবে ইউনূস বলেন, “নতুন সরকারের মূল প্রতিশ্রুতি হলো পদ্ধতিগত সংস্কার। গত ১৫ বছর ধরে মানুষ ভোট দিতে পারেনি। তিন মেয়াদে একটি জাল ভোটদান ব্যবস্থা চালু ছিল; কর্তৃপক্ষের সাফল্যের দাবি থাকলেও বাস্তবে কেউ ভোট দিতে পারেনি। তরুণরা যেন ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে, তা নিশ্চিত করতে প্রতিষ্ঠানগুলোর সংস্কার প্রয়োজন।”
দেশের রাজনৈতিক পরিবেশকে পুরাতন আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান চ্যালেঞ্জ হলো উত্তরাধিকারসূত্রে প্রাপ্ত জঞ্জাল পরিষ্কার করা। তিনি আরও বলেন, “এটি আমাদের জন্য একটি ক্রান্তিকাল। আমি আশা করি এই ক্রান্তিকাল সংক্ষিপ্ত হবে।”
নরওয়ের প্রতিনিধি দলে ছিলেন সমাজতান্ত্রিক যুব লীগের উপ-নেতা নাজমা আহমেদ, এউইএফ-এর আন্তর্জাতিক নেতা ফাওজি ওয়ারসাম, সেন্টার পার্টির সদস্য ডেন স্কোফটারড, কনজারভেটিভ পার্টির সদস্য ওলা সেভনবী, খ্রিস্টান ডেমোক্র্যাটসের সদস্য হ্যাডল রাসমাস বুল্যান্ড, গ্রিন পার্টি-অনুমোদিত গ্রিন ইয়ুথের সদস্য টোবিয়াস স্টোকল্যান্ড এবং ইয়ং লিবারেলসের প্রাক্তন নেতা থাইরা হাকনস লোক্ক।
এ.আই/এম.আর