কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলায় জমি বিরোধের জেরে সৌদি আরব প্রবাসী শামসুল হক আলমের স্ত্রী ফেরদৌসী বেগমকে হত্যার ঘটনায় চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পরিকল্পিত এই হত্যাকাণ্ড ২ লাখ টাকার চুক্তিতে সংঘটিত হয়, এবং নিহতের মরদেহ একটি সেপটিক ট্যাংকে ফেলে রাখা হয়েছিল।
বুড়িচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আজিজুল হক জানান, গ্রেপ্তারকৃতরা আদালতে হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। নিহতের ভাশুরের স্ত্রী নুরজাহান বেগম এই হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী। তিনি ভাড়াটিয়া খুনি আনোয়ার হোসেন, রুবেল আহমেদ মিন্টু ও মোহাম্মদ মাইনুদ্দিন জিল্লুকে নিয়ে এই অপরাধ সংঘটিত করেন। বুধবার (২ জুলাই ২০২৫) তারা আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দেন।
ওসি আজিজুল হক জানান, ফেরদৌসী বেগম ও তার ভাশুরের স্ত্রী নুরজাহান বেগমের মধ্যে বাড়ির পাশের জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। এই বিরোধ মীমাংসা না হওয়ায় নুরজাহান তার দেবরের স্ত্রীকে হত্যার পরিকল্পনা করেন এবং আনোয়ারের সঙ্গে ২ লাখ টাকায় চুক্তি করেন। পরে রুবেল ও জিল্লু এই হত্যাকাণ্ডে অংশ নেন।
২ জুলাই বুধবার আসামিদের আদালতে পাঠানো হয়, এবং আদালতের নির্দেশে তিন ভাড়াটে খুনিকে কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে।