ঢাকা, ২ জুন ২০২৫: অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বিটিভিসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে একযোগে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন করেছেন। তিনি জানান, দেশের অর্থনীতি স্থিতিশীল করা গেলেও সামনে এখনো বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে। এজন্য প্রবৃদ্ধির গতি বৃদ্ধির চেয়ে অর্থনীতির ভিত্তি মজবুত করাকে সরকার অগ্রাধিকার দিচ্ছে।
অর্থ উপদেষ্টা জানান, চলতি অর্থবছরে ব্যাংক খাত থেকে সরকারের ঋণ গ্রহণের প্রবণতা বেড়েছে। ২১ মে পর্যন্ত সরকারের নিট ঋণের পরিমাণ প্রায় ৬০ হাজার কোটি টাকা, যা জানুয়ারিতে ছিল মাত্র ১৩ হাজার ৫৭১ কোটি টাকা। রাজস্ব আদায়ে লক্ষ্যপূরণ না হওয়া, সঞ্চয়পত্র বিক্রির গতি কমে যাওয়া এবং বৈদেশিক ঋণের প্রবাহ হ্রাস পাওয়াকে এর পেছনের কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
মূল্যস্ফীতির বিষয়ে ড. সালেহউদ্দিন বলেন, সাম্প্রতিক মাসগুলোতে মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমলেও তা এখনো কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় পৌঁছায়নি। তিনি জানান, এ বছরের বাজেটের আকার নির্ধারণ করা হয়েছে ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা, যা গত অর্থবছরের ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকার তুলনায় কম। বাংলাদেশের ইতিহাসে এই প্রথম বাজেটের আকার হ্রাস পেয়েছে, যা বিশ্লেষকরা সময়োপযোগী ও বাস্তববাদী সিদ্ধান্ত হিসেবে বিবেচনা করছেন। রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৪ লাখ ৯৯ হাজার কোটি টাকা।
ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, “আমরা এমন একটি অর্থনৈতিক কার্জক্রম গড়ে তুলতে চাই, যেখানে সকল নাগরিকের জন্য মানসম্মত জীবনযাত্রা এবং বৈষম্যহীন সুযোগ নিশ্চিত হবে।” তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, জনগণের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ ভবিষ্যতে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক ও স্থিতিশীল অর্থনীতির দেশ হবে, যা বিশ্বের জন্য একটি অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত হিসেবে বিবেচিত হবে।
এ.আই/এম.আর