ঢাকা, ২ জুন ২০২৫: ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে তামাকজাত পণ্যের দাম বৃদ্ধির প্রস্তাব করা হয়েছে। সোমবার (২ জুন) অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ জাতীয় সংসদে ৭ লাখ ৮৯ হাজার ৯৯৯ কোটি টাকার বাজেট উপস্থাপন করেন। এই বাজেটে তামাক বীজ আমদানিতে ২৫% কাস্টমস ডিউটি আরোপ এবং সিগারেট উৎপাদনে ব্যবহৃত কাঁচামালের উপর সম্পূরক শুল্ক বৃদ্ধির প্রস্তাব করা হয়েছে, যার ফলে সিগারেট, জর্দা ও গুলের দাম বাড়বে।
বাজেটে বলা হয়েছে, সিগারেট, জর্দা ও গুল জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। তামাক চাষকে নিরুৎসাহিত করতে তামাক বীজ আমদানির জন্য নতুন এইচএস কোড সৃষ্টি করে ২৫% কাস্টমস ডিউটি আরোপের প্রস্তাব করা হয়েছে। এছাড়া, সিগারেট উৎপাদনে ব্যবহৃত কাঁচামাল পেপার আমদানিতে উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের জন্য ১০০% এবং বাণিজ্যিক আমদানিকারকদের জন্য ৩৫০% সম্পূরক শুল্ক নির্ধারণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
তদন্ত কমিটির একটি প্রতিবেদনের সুপারিশের ভিত্তিতে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, যাতে শুল্ক ফাঁকি রোধ এবং তামাকজাত পণ্যের বাণিজ্যিক আমদানি নিরুৎসাহিত করা যায়। অ্যাসিটেট টো এবং অ্যাসিটেট ফিল্টার রডের ক্ষেত্রে উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের জন্য কোনো সম্পূরক শুল্ক আরোপিত হবে না।
বাজেটে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৪ লাখ ৯৯ হাজার কোটি টাকা, এবং বাজেট ঘাটতি ২ লাখ ২৬ হাজার কোটি টাকা, যা জিডিপির ৩.৬২%। এই ঘাটতি পূরণে সরকার বৈদেশিক ঋণ, ব্যাংক ঋণ এবং সঞ্চয়পত্রের ওপর নির্ভর করবে।
এটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রথম বাজেট, যা জনস্বাস্থ্য রক্ষা এবং রাজস্ব বৃদ্ধির লক্ষ্যে তামাকজাত পণ্যের উপর শুল্ক বৃদ্ধির মতো গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
এ.আই/এম.আর