০৫ জুন, ২০২৫ : পবিত্র হজ পালনের উদ্দেশ্যে সৌদি আরবে সমবেত লাখ লাখ মুসলমান তাঁবুনগরী মিনা থেকে আরাফাত ময়দানে হাজির হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (৯ জিলহজ) সকাল থেকে তাদের ‘লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক’ ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে উঠেছে এই ঐতিহাসিক ময়দান, যেখানে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) তাঁর বিদায়ী হজের ভাষণ দিয়েছিলেন। এ বছর আরাফাতের ময়দানে হজের খুতবা দেবেন মক্কার পবিত্র মসজিদুল হারামের বিশিষ্ট ইমাম ও খতিব শেখ সালেহ বিন আবদুল্লাহ বিন হুমাইদ। তিনি মসজিদ আল-নামিরায় খুতবা পাঠ করবেন এবং জোহর ও আসরের নামাজে ইমামতি করবেন।
হজের এই খুতবা বিশ্বব্যাপী ২০টির বেশি ভাষায়, যার মধ্যে বাংলা, ইংরেজি, ফ্রেঞ্চ, উর্দু, মালয়সহ অন্যান্য ভাষা রয়েছে, রেডিও ও টেলিভিশনের মাধ্যমে সম্প্রচার করা হবে। বাংলা অনুবাদের দায়িত্ব পালন করবেন ড. খলীলুর রহমান, আ ফ ম ওয়াহিদুর রহমান, মুবিনুর রহমান ও নাজমুস সাকিব, যারা সবাই মক্কার উম্মুল কুরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।
আরাফাতে অবস্থান হজের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এদিন হাজিরা জোহর ও আসরের নামাজ একত্রে আদায় করেন এবং সূর্যাস্ত পর্যন্ত প্রার্থনা, তওবা ও আল্লাহর রহমত কামনায় মগ্ন থাকেন। এরপর তারা মাগরিবের নামাজ না পড়ে মুজদালিফার উদ্দেশে রওনা হন, যেখানে তারা মাগরিব ও এশার নামাজ একসঙ্গে আদায় করবেন এবং খোলা আকাশের নিচে রাত্রিযাপন করবেন। মুজদালিফায় হাজিরা শয়তানের উদ্দেশে পাথর নিক্ষেপের জন্য কঙ্কর সংগ্রহ করেন।
১০ জিলহজ সকালে মুজদালিফা থেকে মিনায় ফিরে হাজিরা তিনটি জামরাতে ৭টি করে কঙ্কর নিক্ষেপ করেন এবং কোরবানি সম্পন্ন করেন। সৌদি সরকারের ব্যবস্থাপনায় কোরবানির ক্ষেত্রে হাজিরা এসএমএসের মাধ্যমে নিশ্চিতকরণ পান। কোরবানির পর মাথা মুণ্ডন করে হাজিরা সাধারণ পোশাক পরে কাবাঘর প্রদক্ষিণ (তাওয়াফ) করেন এবং সাফা-মারওয়ার মধ্যে সাতবার ছুটোছুটি (সায়ী) করেন। এ সময় প্রচুর জমজম পানি পানের পরামর্শ দেওয়া হয়।
১১ ও ১২ জিলহজ হাজিরা মিনায় অবস্থান করে প্রতিদিন তিনটি জামরাতে ২১টি কঙ্কর নিক্ষেপ করেন। যারা ১২ জিলহজের মধ্যে মিনা ত্যাগ করতে না পারেন, তাদের ১৩ জিলহজ অতিরিক্ত ২১টি কঙ্কর নিক্ষেপ করে মিনায় থাকতে হয়। মক্কা ত্যাগের আগে বিদায়ী তাওয়াফ সম্পন্ন করা বাধ্যতামূলক, যা ১২ জিলহজের পর যেকোনো নফল তাওয়াফ হিসেবে গণ্য হয়।
সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আরাফাত ময়দানে তাপমাত্রা ৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছাতে পারে। তাই হাজিদের স্বাস্থ্য পরামর্শ মেনে চলা এবং নির্দিষ্ট পরিবহন ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ থেকে এ বছর ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজ পালনের সুযোগ পাবেন, এবং ফিরতি ফ্লাইট ১০ জুন থেকে ১০ জুলাই পর্যন্ত চলবে।
Note For Readers:
The CEO handles all legal and staff issues. Claiming human help before the first hearing isn't part of our rules.
Our system uses humans and AI, including freelance journalists, editors, and reporters.
The CEO can confirm if your issue involves a person or AI.