Tuesday, May 6, 2025

ফেনীতে সাউথইস্ট ব্যাংক কর্মকর্তার জালিয়াতির অভিযোগ, উৎকণ্ঠায় গ্রাহকরা

ফেনী, ৬ মে ২০২৫ – ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলার সাউথইস্ট ব্যাংক সিলোনিয়া বাজার শাখার এক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রাহকদের এফডিআর ও বিভিন্ন হিসাব থেকে কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় গ্রাহকদের মধ্যে উৎকণ্ঠা ছড়িয়ে পড়েছে।

একাধিক সূত্রে জানা গেছে, আট বছর ধরে শাখায় কর্মরত মোহাম্মদ জিয়াউল হক বিভিন্ন উপায়ে এই অর্থ হাতিয়ে নিয়েছেন। অভিযুক্ত জিয়াউল হক ছাগলনাইয়া উপজেলার পশ্চিম ফতেহনগরের সালমান হাজী বাড়ির আবদুল হকের ছেলে। অর্থ আত্মসাতের খবর ছড়িয়ে পড়ায় গ্রাহকরা শাখায় ভিড় করছেন। গত ৪ মে ব্যাংকের অডিট বিভাগের কর্মকর্তারা শাখাটি পরিদর্শন করেছেন।
ভুক্তভোগী জায়লস্কর ইউনিয়নের সোনাপুর গ্রামের ব্যবসায়ী একে আজাদ জানান, তার হিসাব থেকে প্রায় ৩২ লাখ টাকার হদিস পাওয়া যাচ্ছে না। তিনি বলেন, “আমি আরটিজিএসের মাধ্যমে লেনদেন করতাম। স্বাক্ষর জালিয়াতি করে টাকা সরানো হয়েছে বলে মনে করছি।”
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ট্রাভেলস ব্যবসায়ী জানান, তার হিসাব থেকে ১০ লাখ টাকা গায়েব হয়েছে। তিনি বলেন, “আমি আরটিজিএস বা চেকের মাধ্যমে লেনদেন করিনি, তবুও টাকা উধাও। খবর শুনে প্রবাসীদের স্ত্রীরা ব্যাংকে ছুটে এসেছেন। আমরা দ্রুত টাকা ফেরত চাই, কিন্তু কর্তৃপক্ষ কিছু বলছে না।”
দক্ষিণ আফ্রিকা প্রবাসী ইমরান হোসেন জানান, গত ৩০ এপ্রিল তার হিসাব থেকে ৫০ লাখ টাকা সরিয়ে নেওয়া হয়। তিনি ১ মে শাখা ব্যবস্থাপক কামরুজ্জামানকে বিষয়টি জানান। অডিট কর্মকর্তাদের আগমনের পর জিয়াউল হক নিরাপত্তাকর্মী জয়নাল আবেদীনকে ধাক্কা দিয়ে পালিয়ে যান বলে তিনি শুনেছেন।
জিয়াউল হকের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।
শাখা ব্যবস্থাপক কামরুজ্জামান বলেন, “বিষয়টি ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে। অডিট শেষ না হওয়া পর্যন্ত বিস্তারিত বলা সম্ভব নয়।”
সাউথইস্ট ব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুর রহমান চৌধুরী বলেন, “অডিট কার্যক্রম চলছে। চূড়ান্ত প্রতিবেদন পেলে বিস্তারিত জানা যাবে। গ্রাহকদের অর্থের দায়িত্ব ব্যাংকের। উৎকণ্ঠার কোনো কারণ নেই।”

এ.আই/এম.আর

Share This Post

শেয়ার করুন

Author:

Note For Readers: The CEO handles all legal and staff issues. Claiming human help before the first hearing isn't part of our rules. Our system uses humans and AI, including freelance journalists, editors, and reporters. The CEO can confirm if your issue involves a person or AI.