Monday, May 26, 2025

যাত্রা শুরু করল “নাগরিক সেবা বাংলাদেশ”: সরকারি সেবা এখন জনগণের দোরগোড়ায়

ঢাকা, ২৬ মে ২০২৫: ‘এক ঠিকানায় সকল নাগরিক সেবা’ স্লোগান নিয়ে সরকারি বিভিন্ন সেবা জনগণের কাছে পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে যাত্রা শুরু করেছে “নাগরিক সেবা বাংলাদেশ”। সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এই কার্যক্রমের পাইলট প্রকল্পের শুভ উদ্বোধন করেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস।  

প্রশিক্ষিত নাগরিক সেবা উদ্যোক্তারা রাজধানীর গুলশান, উত্তরা ও নীলক্ষেতে স্থাপিত নাগরিক সেবা কেন্দ্র থেকে সাধারণ নাগরিকদের সেবা প্রদান করবেন। গুলশান ও উত্তরার কেন্দ্র ইতোমধ্যে কার্যক্রম শুরু করেছে, এবং নীলক্ষেত কেন্দ্রও শিগগিরই চালু হবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “দালাল চক্রের দৌরাত্ম্য কমাতে, হয়রানি রোধে এবং ভোগান্তিমুক্ত নাগরিক সেবা নিশ্চিত করতে এই উদ্যোগ যুগান্তকারী ভূমিকা পালন করবে।” তিনি প্রবাসী সেবা কেন্দ্র তৈরির নির্দেশনা দিয়ে বলেন, “সেবা প্রদানে মন্ত্রণালয়গুলোর মধ্যে ইতিবাচক প্রতিযোগিতা সৃষ্টি করা আমাদের লক্ষ্য।”
প্রফেসর ইউনূস জোর দিয়ে বলেন, “শিশুরা জন্মের সাথে সাথেই জন্ম নিবন্ধন সনদ পাক, এটাই হবে তাদের নাগরিক স্বীকৃতি।” তিনি আরও বলেন, নাগরিক সেবা কেন্দ্রগুলো উদ্যোক্তাদের দ্বারা পরিচালিত হবে, যারা ভাড়া পরিশোধ, নিরাপত্তা ও রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব নেবেন। সেবার মান বজায় না রাখলে লাইসেন্স বাতিল হতে পারে।
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, “শূন্য বাজেটে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন প্রমাণ করে যে বিদ্যমান সম্পদ ব্যবহার করেই অগ্রগতি সম্ভব।” তিনি জানান, পোস্ট অফিসসহ অব্যবহৃত সরকারি স্থাপনাগুলো আধুনিক কো-ওয়ার্কিং স্পেসে রূপান্তরিত হবে, যা স্থানীয় উদ্যোক্তারা পরিচালনা করবেন।
এই কেন্দ্রগুলো জাতীয় পরিচয়পত্র, পাসপোর্ট, কর ফাইলিংসহ বিভিন্ন ডিজিটাল সেবা প্রদান করবে। প্রকল্পটি যুব ও নারীদের অর্থনৈতিকভাবে স্বনির্ভর করার পাশাপাশি সামাজিক ও অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে ভূমিকা রাখবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশন, ভূমি মন্ত্রণালয়, আইসিটি বিভাগ, স্থানীয় সরকার বিভাগ, পুলিশ, ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর এবং জাতীয় পরিচয়পত্র অনুবিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এ.আই/এম.আর

Share This Post

শেয়ার করুন

Author:

Note For Readers: The CEO handles all legal and staff issues. Claiming human help before the first hearing isn't part of our rules. Our system uses humans and AI, including freelance journalists, editors, and reporters. The CEO can confirm if your issue involves a person or AI.