ঢাকা, ২৬ মে, ২০২৫: ‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’-এর বিরুদ্ধে আজ বাংলাদেশ সচিবালয়ে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের শত শত কর্মকর্তা-কর্মচারী বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছেন। গত রোববার (২৫ মে) সন্ধ্যায় রাষ্ট্রপতি কর্তৃক জারি করা এই অধ্যাদেশে চার ধরনের শৃঙ্খলা ভঙ্গের অপরাধে বিভাগীয় মামলা ছাড়াই শুধু কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়ে চাকরিচ্যুত করার বিধান রাখা হয়েছে।
আজ দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বিক্ষোভকারীরা সচিবালয়ের প্রধান ফটকের কাছে অবস্থান নেন এবং কাজ ফেলে বিক্ষোভে অংশ নেন। তারা “লেগেছে রে লেগেছে, রক্তে আগুন লেগেছে,” “অবৈধ কালো আইন, বাতিল কর করতে হবে,” “কর্মচারী মানে না, অবৈধ কালো আইন,” এবং “এক হও লড়াই কর, ১৮ লাখ কর্মচারী” ইত্যাদি স্লোগান দিয়ে অধ্যাদেশটি প্রত্যাহারের দাবি জানান। এ সময় প্রধান ফটক বন্ধ থাকায় প্রায় ৩০ মিনিট গাড়ি প্রবেশ ও বের হতে পারেনি।
গত ২২ মে উপদেষ্টা পরিষদের সভায় অধ্যাদেশটির খসড়া অনুমোদনের পর থেকেই সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এর প্রত্যাহারের দাবিতে বিক্ষোভ করে আসছেন। গত রোববার সচিবালয়ের সকল কর্মচারী সংগঠন সম্মিলিতভাবে বিক্ষোভ করে এবং অধ্যাদেশ প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেয়।
মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, আজ দুপুর ২টায় আন্দোলনকারীদের দাবিদাওয়া নিয়ে আইন উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক হওয়ার কথা থাকলেও তা অনুষ্ঠিত হয়নি। জানা গেছে, আইন উপদেষ্টা সচিবালয়ে আসেননি।
কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ঐক্যবদ্ধ প্রতিবাদ এবং চলমান আন্দোলন স্পষ্ট করে যে, তারা এই “অবৈধ কালো আইন” প্রত্যাহারের দাবিতে অটল রয়েছেন, এবং দাবি পূরণ না হলে আন্দোলন আরও জোরদার হতে পারে।
এ.আই/এম.আর