ঢাকা, ২ জুন ২০২৫ – হাইকোর্ট সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলায় টেকনাফ থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ এবং পরিদর্শক লিয়াকত আলীর ফাঁসির দণ্ড বহাল রেখেছেন। এছাড়া, ছয় আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং প্রত্যেকের ৫০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশও বহাল রাখা হয়েছে।
সোমবার (২ জুন) বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান ও বিচারপতি মো. সগীর হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রায় ঘোষণা করেন। গত ২৯ মে ডেথ রেফারেন্স ও আসামিদের আপিলের শুনানি শেষ হয়, এবং রায়ের জন্য ২ জুন তারিখ নির্ধারণ করা হয়।
ঘটনাটি ঘটেছিল ২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাত সাড়ে ৯টার দিকে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের শামলাপুর তল্লাশিচৌকিতে। বাহারছড়া তদন্তকেন্দ্রের তৎকালীন পরিদর্শক লিয়াকত আলীর গুলিতে নিহত হন মেজর সিনহা। ঘটনার পাঁচ দিন পর, ৫ আগস্ট ২০২০, সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। ২০২০ সালের ১৩ ডিসেম্বর র্যাব ১৫ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দেয়, যেখানে হত্যাকাণ্ডকে ‘পরিকল্পিত’ বলে উল্লেখ করা হয়।
২০২২ সালের ৩১ জানুয়ারি কক্সবাজারের জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইল রায় ঘোষণা করেন। রায়ে ওসি প্রদীপ ও লিয়াকতকে ফাঁসি, এসআই নন্দদুলাল রক্ষিত, কনস্টেবল রুবেল শর্মা, সাগর দেব এবং বাহারছড়ার মারিশবুনিয়া গ্রামের মো. নুরুল আমিন, মোহাম্মদ আইয়াজ ও মো. নিজাম উদ্দিনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। বাকি সাত আসামি খালাস পান। পরে মৃত্যুদণ্ড নিশ্চিতকরণের জন্য ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে পাঠানো হয়, এবং দণ্ডিত আসামিরা আপিল করেন।
২০২৪ সালের ২৩ জুন থেকে হাইকোর্টে ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের শুনানি শুরু হয়। গত ২১ এপ্রিল প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ মামলাটি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নিষ্পত্তির নির্দেশ দেন এবং নথি বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান ও মো. সগীর হোসেনের বেঞ্চে পাঠান।
এ.আই/এম.আর