আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ২ মে, ২০২৫ : দখলদার ইসরায়েল ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় হামলার পরিধি বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে। এর অংশ হিসেবে তারা বড় আকারে রিজার্ভ সেনা জড়ো করবে। শুক্রবার (২ মে) ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমগুলো এই তথ্য জানিয়েছে।
সেনা সংখ্যা কমে যাওয়া এবং গাজায় আটক জিম্মিদের ভাগ্য নিয়ে উদ্বেগের কারণে বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সরকার এই সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। শুক্রবার নেতানিয়াহু তার নিরাপত্তা পরিষদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। সংবাদমাধ্যম ইয়েদিয়ুথ আহরোনোথ জানিয়েছে, এতে উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তা ও জ্যেষ্ঠ মন্ত্রীরা উপস্থিত থাকবেন। সংবাদমাধ্যমটি বলেছে, “গত কয়েকদিনে একাধিক রিজার্ভ অফিসার তাদের ইউনিটকে হঠাৎ ডাকের জন্য প্রস্তুত থাকতে বলেছেন।”
বৃহস্পতিবার নেতানিয়াহু জানান, জিম্মিদের মুক্তির চেয়ে গাজা যুদ্ধে জয়লাভই তাদের প্রধান লক্ষ্য। এরপর থেকে বড় হামলার আশঙ্কা বেড়েছে।
ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস স্থায়ী যুদ্ধবিরতির বিনিময়ে সব জিম্মিকে ফেরত দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে, কিন্তু নেতানিয়াহু সরকার তা প্রত্যাখ্যান করেছে। ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী জানিয়েছে, লক্ষ্য ও অন্যান্য বিষয় বিবেচনায় নিয়ে ‘যত্ন ও দায়িত্বের সঙ্গে’ রিজার্ভ সেনাদের জড়ো করা হবে।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েল গাজায় নির্মম হামলা চালাচ্ছে, যাতে এখন পর্যন্ত ৫৫ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। গত জানুয়ারিতে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি হয়েছিল, কিন্তু ইসরায়েল চুক্তি লঙ্ঘন করে পবিত্র রমজান মাসে গাজাবাসীর ওপর পুনরায় গণহত্যা শুরু করে।
এই পরিকল্পিত হামলা গাজায় আরও ধ্বংসযজ্ঞের আশঙ্কা তৈরি করেছে, যেখানে মানবিক সংকট ইতিমধ্যেই ভয়াবহ রূপ নিয়েছে।
এ.আই/এম.আর