ঢাকা, ২০ মে ২০২৫: গায়ক মাইনুল আহসান নোবেলের বিরুদ্ধে এক তরুণীকে ছয় মাসেরও বেশি সময় আটকে রেখে ধর্ষণ, শারীরিক নির্যাতন এবং ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকির অভিযোগে মামলা দায়ের হয়েছে। মঙ্গলবার (২০ মে) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়া উদ্দিন আহমেদ এই মামলায় নোবেলকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
ডেমরা থানা পুলিশ সোমবার (১৯ মে) দিবাগত রাতে ঢাকার ডেমরা এলাকার সারুলিয়া থেকে নোবেলকে গ্রেপ্তার করে। ডেমরা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মুরাদ হোসেন জানান, গত ২০১৮ সালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নোবেলের সঙ্গে ভুক্তভোগী তরুণীর পরিচয় হয়। এরপর তাদের মধ্যে মাঝেমধ্যে মুঠোফোনে যোগাযোগ হতো। ২০২৪ সালের ১২ নভেম্বর নোবেল মোহাম্মদপুরে গিয়ে ভুক্তভোগীর সঙ্গে দেখা করে এবং স্টুডিও দেখানোর কথা বলে তাকে নিজের বাসায় নিয়ে যায়।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, নোবেল দুই থেকে তিনজন অজ্ঞাত সহযোগীর সহায়তায় ভুক্তভোগীকে তার বাসায় আটকে রাখে। এ সময় তিনি ভুক্তভোগীর মোবাইল ফোন ভেঙে ফেলেন এবং নেশাগ্রস্ত অবস্থায় তাকে মারধর ও ধর্ষণ করেন। এছাড়া, ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে ২০২৫ সালের ১৯ মে পর্যন্ত তাকে আটকে রাখেন।
নোবেলের মারধরের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হলে ভুক্তভোগীর পরিবার তাকে চিনতে পেরে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ কল করে। এরপর ১৯ মে রাত সাড়ে ৯টার দিকে ডেমরা থানা পুলিশ ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করে এবং তার অভিযোগের ভিত্তিতে নারী নির্যাতন মামলা দায়ের করা হয়। তদন্তের সময় সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ ও প্রযুক্তির সহায়তায় নোবেলকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগীকে চিকিৎসার জন্য ঢাকার একটি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এই মামলা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা চলছে, এবং নোবেলের বিরুদ্ধে পূর্বের বিভিন্ন বিতর্কের প্রসঙ্গও উঠে আসছে।
এ.আই/এম.আর