Tuesday, May 20, 2025

হত্যাচেষ্টা মামলায় জামিনে মুক্ত নুসরাত ফারিয়া

ঢাকা, ২০ মে ২০২৫: রাজধানীর ভাটারা থানায় দায়ের হওয়া হত্যাচেষ্টা মামলায় গ্রেপ্তারের দুই দিনের মধ্যে জামিনে কারামুক্ত হয়েছেন অভিনেত্রী নুসরাত ফারিয়া। মঙ্গলবার (২০ মে) বেলা ৩টা ২০ মিনিটের দিকে তিনি কাশিমপুর কারাগার থেকে মুক্তি পান। 

জানা গেছে, মঙ্গলবার সকাল ১১টার দিকে আদালত থেকে ই-মেইলের মাধ্যমে জামিনের কাগজ কাশিমপুর কারাগারে পৌঁছায়। নুসরাত ফারিয়ার চাচাতো বোন লামিয়া বেলা ৩টার দিকে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলে জানান, কিছুক্ষণের মধ্যে তিনি কারাগার থেকে বের হবেন। এরপর ৩টা ২০ মিনিটের দিকে দুটি প্রাইভেট গাড়ি ও একটি কালো মাইক্রো জিপ কারাগারের মূল ফটক থেকে ছেড়ে যায়। তবে নুসরাত কোন গাড়িতে ছিলেন, তা নিশ্চিত করা যায়নি। তিনি পরিবার ও আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গে গাড়িতে করে চলে যান। সকাল থেকে অনেক ভক্ত ফুল নিয়ে তাকে স্বাগত জানাতে কারাগারের সামনে অপেক্ষা করছিলেন, কিন্তু জামিনে মুক্তির পর তিনি কারও সঙ্গে দেখা করেননি।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ওমর ফারুক জানান, পুলিশ রিপোর্ট দাখিল না করা পর্যন্ত নুসরাত ফারিয়াকে জামিন মঞ্জুর করা হয়েছে। তদন্তকারী কর্মকর্তার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মামলার ঘটনার সময় (২০২৪ সালের ৯ জুলাই থেকে ১৪ জুলাই) নুসরাত ফারিয়া কানাডায় ছিলেন। তদন্তে তার সম্পৃক্ততার কোনো সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া যায়নি।
প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, গ্রেপ্তারের পর নুসরাতকে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কার্যালয়ে প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তার পাসপোর্ট পর্যালোচনায় নিশ্চিত হয়েছে যে তিনি ঘটনার সময় দেশের বাইরে ছিলেন। মামলার তদন্ত এখনও চলমান।
এর আগে, গত রোববার (১৮ মে) সকালে থাইল্যান্ড যাওয়ার উদ্দেশ্যে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে গেলে ইমিগ্রেশন পুলিশ নুসরাতকে আটক করে। পরে তাকে ভাটারা থানায় সোপর্দ করা হয় এবং জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়। সোমবার (১৯ মে) আদালত তাকে কারাগারে পাঠায়। জামিনের পূর্ণাঙ্গ শুনানি আগামী বৃহস্পতিবার (২২ মে) অনুষ্ঠিত হবে।
প্রসঙ্গত, গত জুলাই-আগস্টে ভাটারা থানায় দায়ের হওয়া একটি হত্যাচেষ্টা মামলায় নুসরাত ফারিয়াকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
এ.আই/এম.আর


Share This Post

শেয়ার করুন

Author:

Note For Readers: The CEO handles all legal and staff issues. Claiming human help before the first hearing isn't part of our rules. Our system uses humans and AI, including freelance journalists, editors, and reporters. The CEO can confirm if your issue involves a person or AI.