শুক্রবার বিকেল ৫টার দিকে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে মৃদু ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। ভূমিকম্পটি কয়েক সেকেন্ড স্থায়ী ছিল এবং তাৎক্ষণিকভাবে কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। ভূমিকম্পের পর থেকে সামাজিক মাধ্যমে এ নিয়ে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়েছে। অনেকেই তাদের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন এবং সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৪.১ রিখটার স্কেলে। এর উৎপত্তিস্থল ছিল ঢাকা থেকে ৪১ কিলোমিটার দক্ষিণে, যার গভীরতা ছিল ১০ কিলোমিটার ভূমিকম্পটি ঢাকা ছাড়াও চট্টগ্রাম, বরিশাল এবং দেশের অন্যান্য অঞ্চলে অনুভূত হয়েছে।
ভূমিকম্পের ফলে কোনো বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি বা হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। তবে, ভূমিকম্পের সময় অনেকেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভূমিকম্পের মাত্রা কম থাকায় বড় ধরনের ক্ষতির আশঙ্কা ছিল না।
ভূমিকম্পের পর বিশেষজ্ঞরা সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। তারা বলছেন, ভূমিকম্পের পূর্বাভাস দেওয়া সম্ভব না হলেও, প্রস্তুতি গ্রহণের মাধ্যমে ক্ষয়ক্ষতি কমানো সম্ভব। ভবন নির্মাণে ভূমিকম্প-প্রতিরোধী প্রযুক্তি ব্যবহার এবং জরুরি পরিস্থিতিতে দ্রুত সাড়া দেওয়ার সক্ষমতা বাড়ানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশে মাঝেমধ্যেই মৃদু ভূমিকম্প অনুভূত হয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশের ভূতাত্ত্বিক অবস্থানের কারণে ভূমিকম্পের ঝুঁকি রয়েছে। তবে, বড় ধরনের ভূমিকম্পের ঘটনা খুবই কম।
এ আই/এম.আর