যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণাঞ্চলে ভয়াবহ বন্যা এবং ঝড়ের কারণে গত তিন দিনে অন্তত ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই প্রাকৃতিক দুর্যোগের ফলে কেন্টাকি, মিসিসিপি, টেনেসি, আরকানসাস এবং মিজৌরিসহ একাধিক অঙ্গরাজ্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
টানা বৃষ্টির কারণে নদীর পানি উপচে বহু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। ধসে গেছে সেতু, ডুবে গেছে শত শত বাড়ি। লুইভিল শহরের প্রাণকেন্দ্রসহ ওয়াটারফ্রন্ট পার্ক, বিগ ফোর ব্রিজ এবং লিন ফ্যামিলি স্টেডিয়ামের প্রবেশপথ পানিতে তলিয়ে গেছে।
স্থানীয় প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী, অন্তত ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। মিসিসিপি, কেন্টাকি, টেনেসি এবং অন্যান্য অঙ্গরাজ্যে মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
ভারী বৃষ্টিপাত: কেন্দ্রীয় জলবায়ু সংস্থা জানিয়েছে, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ভারী বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বেড়েছে। সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়েছে ওহাইও রিভার ভ্যালি এবং মিডওয়েস্ট অঞ্চলে।
বিপজ্জনক পরিস্থিতি:কেন্টাকির গভর্নর অ্যান্ডি বেসিয়ার জানিয়েছেন, কিছু এলাকায় নদীর পানি এখনও বিপৎসীমার ওপরে বইছে। জলাবদ্ধ এলাকায় গাড়ি নিয়ে প্রবেশ না করার জন্য সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
সেনাবাহিনী মোতায়েন: ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। বাড়ি বাড়ি গিয়ে উদ্ধার তৎপরতা চালানো হচ্ছে। রাজধানী ফ্রাঙ্কফোর্টে হাজার হাজার মানুষ বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন অবস্থায় রয়েছেন।
টর্নেডো:মিসিসিপির ব্লু স্প্রিংস এবং জ্যাসপার কাউন্টিতে টর্নেডোর আঘাতে ভ্রাম্যমান বাড়ি ধ্বংস হয়েছে। হতাহতের ঘটনা ঘটেছে বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। হিকোরি শহরে ১৫ ইঞ্চির বেশি বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
জীবন রক্ষার আহ্বান:জলবায়ু সংস্থা এবং স্থানীয় প্রশাসন জনগণকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছে। বন্যার পানি কমলেও পরিস্থিতি এখনও বিপজ্জনক।
এ আই/এম আর