সর্বশেষ

Saturday, August 2, 2025

শত শত কোটি টাকা নিয়ে পালালো ফ্লাইট এক্সপার্ট!

শত শত কোটি টাকা নিয়ে পালালো ফ্লাইট এক্সপার্ট!

অনলাইনে বিমানের টিকিট কাটার অন্যতম বড় প্ল্যাটফর্ম ‘ফ্লাইট এক্সপার্ট’ শত শত কোটি টাকা নিয়ে বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে গেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তথ্য অনুযায়ী, বহু এজেন্সি এই প্রতিষ্ঠানে বিপুল পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ করেছিল।

শনিবার (২ আগস্ট, ২০২৫) ফ্লাইট এক্সপার্টের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করা সম্ভব হচ্ছে না। প্রতিষ্ঠানটির অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে সর্বশেষ পোস্ট ছিল হজ নিয়ে, যেখানে ২০২৬ সালের হজের রেজিস্ট্রেশন শুরু এবং হজ প্যাকেজে মূল্য ছাড়ের কথা জানানো হয়েছিল। *হলিডে ট্রাভেলার্স অব বাংলাদেশ* নামে একটি ফেসবুক গ্রুপে একজন ব্যবহারকারী পোস্ট করে লিখেছেন, “ফ্লাইট এক্সপার্ট থেকে যারা টিকিট করেছেন কিন্তু এখনো ফ্লাই করেননি, তারা দয়া করে টিকিটের বর্তমান স্ট্যাটাস চেক করুন। আমি বারবার বলি, দাম কম না খুঁজে মানসম্মত সার্ভিস খুঁজুন। ফ্লাইট এক্সপার্টের সব সেবা বন্ধ হয়ে গেছে।”

ফ্লাইট এক্সপার্টের সেলস ডিপার্টমেন্টের একজন কর্মী মামুনুর রশিদ সাংবাদিকদের বলেন, “শুক্রবার (১ আগস্ট) রাতেই আমাদের মালিক দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন।”
ফ্লাইট এক্সপার্ট ২০১৭ সালের মার্চ মাস থেকে বাংলাদেশে কার্যক্রম শুরু করে। একটি লঞ্চ ইভেন্টের মাধ্যমে তারা তাদের প্ল্যাটফর্ম চালু করেছিল। প্রতিষ্ঠার পর থেকে এটি দ্রুত বাংলাদেশের অনলাইন ট্রাভেল ইন্ডাস্ট্রিতে প্রভাবশালী নাম হয়ে ওঠে এবং ফ্লাইট টিকেটিং শিল্পে বড় জায়গা দখল করে। দেশি-বিদেশি বিভিন্ন এয়ারলাইন্সের টিকিট বুকিং, হোটেল রিজার্ভেশন, ট্যুর প্যাকেজ এবং ভিসা প্রক্রিয়াকরণের মতো নানা ধরনের সেবা প্রদান করতো এই প্ল্যাটফর্ম। সাশ্রয়ী মূল্যে সহজে ফ্লাইট টিকিট বুক করার সুবিধার কারণে এটি গ্রাহকদের কাছে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিল।
আফ্রিদিদের দলের বিব্রতকর ঘটনার পর ‘পাকিস্তান’ নাম ব্যবহারে পিসিবির নিষেধাজ্ঞা

আফ্রিদিদের দলের বিব্রতকর ঘটনার পর ‘পাকিস্তান’ নাম ব্যবহারে পিসিবির নিষেধাজ্ঞা

পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) যুক্তরাজ্যে চলমান ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপ অব লিজেন্ডস (ডব্লুসিএল)-এর সাম্প্রতিক বিতর্কের পর ব্যক্তিমালিকানাধীন ক্রিকেট লিগে ‘পাকিস্তান’ নাম ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। এই টুর্নামেন্টে ‘পাকিস্তান চ্যাম্পিয়নস’ দলের হয়ে খেলছেন সাবেক ক্রিকেটার শহীদ আফ্রিদি, মোহাম্মদ হাফিজ ও শোয়েব মালিক। পিসিবি স্পষ্ট জানিয়েছে, ভবিষ্যতে তাদের আনুষ্ঠানিক অনুমতি ছাড়া কোনো দল বা লিগ ‘পাকিস্তান’ নাম ব্যবহার করতে পারবে না।

*টেলিকম এশিয়া স্পোর্টস*-এর প্রতিবেদনে পিসিবির একটি সূত্রের বরাতে বলা হয়, গত বৃহস্পতিবার বোর্ড অব ডিরেক্টরসের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ডব্লুসিএল-এ ‘ভারত চ্যাম্পিয়নস’ দল দুই দফায় পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলতে অস্বীকৃতি জানানোয় পিসিবির শীর্ষ কর্মকর্তারা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। লিগ পর্ব ও সেমিফাইনালে ভারত পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ বয়কট করলে পাকিস্তান ফাইনালে পৌঁছে যায়। ফাইনালে তারা দক্ষিণ আফ্রিকা লিজেন্ডসের বিপক্ষে খেলবে। পিসিবি এই ম্যাচ খেলার অনুমতি দিলেও ভবিষ্যতে ‘পাকিস্তান’ নামের অপব্যবহার রোধে কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, জিম্বাবুয়ে, কেনিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের মতো দেশে ছোট পরিসরের লিগে পিসিবির অনুমতি ছাড়া ‘পাকিস্তান’ নাম ব্যবহারের প্রবণতা বেড়েছে। এসব টুর্নামেন্টের মান ও তদারকি নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। পাকিস্তান সরকার ও ক্রীড়া তত্ত্বাবধায়ক সংস্থা ইন্টার-প্রভিন্সিয়াল কো-অর্ডিনেশন (আইপিসি) মন্ত্রণালয় পিসিবির এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছে এবং কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে। মন্ত্রণালয়ের মতে, ব্যক্তিমালিকানাধীন বা অননুমোদিত ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় দেশের মর্যাদা রক্ষা করা অত্যন্ত জরুরি।
ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপ অব লিজেন্ডস আইসিসি বা পিসিবি অনুমোদিত কোনো টুর্নামেন্ট নয়। টুর্নামেন্টের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, এটি ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি) অনুমোদিত একমাত্র লিজেন্ডস ক্রিকেট লিগ, যা এর বিশ্বাসযোগ্যতা ও মান নিশ্চিত করে।
এখনই পদক্ষেপ না নিলে ভারতের মানচিত্রে হিমাচল প্রদেশ থাকবে না: সুপ্রিম কোর্ট

এখনই পদক্ষেপ না নিলে ভারতের মানচিত্রে হিমাচল প্রদেশ থাকবে না: সুপ্রিম কোর্ট

ভারতের সুপ্রিম কোর্ট সতর্ক করে বলেছে, পরিবেশ রক্ষায় তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ না নিলে ভারতের মানচিত্র থেকে হিমাচল প্রদেশ একদিন মুছে যেতে পারে। লাগামছাড়া উন্নয়নের রাশ টানার জন্য জোর দিয়ে সর্বোচ্চ আদালত বলেছেন, পরিবেশের ভারসাম্য ফিরিয়ে না আনলে গোটা রাজ্যটাই একদিন বিলীন হয়ে যাবে।

শুক্রবার বিচারপতি জে বি পর্দিওয়ালা ও বিচারপতি আর মাধবনের ডিভিশন বেঞ্চ একটি মামলার শুনানিতে এই উদ্বেগ প্রকাশ করে জনস্বার্থে একটি মামলা (পিআইএল) দায়ের করার নির্দেশ দিয়েছেন। আদালত হিমাচল প্রদেশ সরকারকে চার সপ্তাহের মধ্যে এ বিষয়ে মতামত জানাতে বলেছেন।

মামলাটির সূত্রপাত একটি হোটেল সংস্থার নির্মাণকাজে রাজ্য সরকারের বাধার কারণে। গত জুনে রাজ্যের শহর ও শহরতলি উন্নয়ন পর্ষদের ঘোষিত ‘গ্রিনজোন’ এলাকায় এই নির্মাণকাজ চলছিল। এর বিরুদ্ধে ওই সংস্থা হাইকোর্টে মামলা করে। হাইকোর্ট বিধিনিষেধের পক্ষে রায় দিলে সংস্থাটি সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়। সুপ্রিম কোর্ট হাইকোর্টের রায়ে হস্তক্ষেপ করতে অস্বীকার করে, তবে জনস্বার্থে গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য করেন। বিচারপতিরা বলেন, এ বিষয়ে অনেক আগেই ব্যবস্থা নেওয়া উচিত ছিল। হিমাচল প্রদেশের পরিস্থিতি দিন দিন খারাপ থেকে আরও খারাপ হচ্ছে। পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হওয়ায় বছরের পর বছর ধরে ভয়াবহ প্রাকৃতিক বিপর্যয় ঘটছে। এ বছরও বন্যায় শত শত মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, ভূমিধসে প্রাণ হারিয়েছেন, এবং বিপুল সম্পত্তি ধ্বংস হয়েছে। বিচারপতিরা বলেন, “রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারকে বোঝাতে চাই, শুধু রাজস্ব আদায়ই লক্ষ্য হতে পারে না। পরিবেশ ও বাস্তুতন্ত্রের ক্ষতি করে রাজস্ব আদায় চলতে থাকলে একদিন হিমাচল প্রদেশ বিলীন হয়ে যাবে।” বিচারপতিরা মানুষকেই এই সংকটের জন্য দায়ী করে বলেন, প্রকৃতির ওপর অত্যাচার চালানো হয়েছে। চার লেনের রাস্তা, রোপওয়ে, পাহাড়ে সুড়ঙ্গ, এবং বসতি বিস্তারের মতো লাগামছাড়া উন্নয়ন চলেছে। ভূতত্ত্ববিদ, পরিবেশবিশেষজ্ঞ বা স্থানীয়দের মতামত না নিয়ে পরিবেশ–সংক্রান্ত নিয়ম উপেক্ষা করা হয়েছে। পর্যটন রাজ্যের আয়ের প্রধান উৎস হলেও, অনিয়ন্ত্রিত পর্যটক বৃদ্ধি পরিবেশের ক্ষতি করছে। আদালত সতর্ক করে বলেছেন, এখনই ব্যবস্থা না নিলে রাজ্যটি রসাতলে যাবে। গত কয়েক বছরে হিমাচল প্রদেশ ও উত্তরাখন্ডে হড়পা বান, অতিবৃষ্টি ও ভূমিধসের প্রকোপ বেড়েছে। রাজ্য সরকারের হিসাবে, গত ২০ জুন থেকে বর্ষা শুরুর পর ১৭০ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং ১,৫০ৰ কোটি টাকার সম্পত্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ১,৩৫২টি বাড়ি।
বিচারপতিরা বলেন, অযথা গাছ কাটা, অপ্রয়োজনীয় জলবিদ্যুৎ প্রকল্প, এবং অপ্রয়োজনীয় নির্মাণকাজ বন্ধ করা দরকার। পর্যটকদের আগমন পরিবেশের ক্ষতি করছে। এখনই সতর্ক না হলে মানচিত্র থেকে হিমাচল প্রদেশ মুছে যাবে।
গাজায় প্রতি তিনজনের মধ্যে একজন দিনের পর দিন খাদ্য ছাড়া, ইউনিসেফের সতর্কতা

গাজায় প্রতি তিনজনের মধ্যে একজন দিনের পর দিন খাদ্য ছাড়া, ইউনিসেফের সতর্কতা

গাজায় দুর্ভিক্ষের মারাত্মক ঝুঁকি দেখা দিয়েছে, প্রতি তিনজনের মধ্যে একজন দিনের পর দিন খাদ্য ছাড়া থাকছেন, জাতিসংঘের শিশু তহবিল (ইউনিসেফ) সতর্ক করেছে। ইসরায়েলের চলমান যুদ্ধের কারণে মানবিক সংকট আরও তীব্র হওয়ায় সংস্থাটি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি জরুরি পদক্ষেপের আহ্বান জানিয়েছে।

ইউনিসেফের উপ-নির্বাহী পরিচালক টেড চাইবান শুক্রবার জানিয়েছেন, গাজায় ৩ লাখ ২০ হাজারের বেশি শিশু তীব্র অপুষ্টির ঝুঁকিতে রয়েছে, এবং অপুষ্টির সূচক দুর্ভিক্ষের সীমা ছাড়িয়ে গেছে। ইসরায়েল, গাজা এবং দখলকৃত পশ্চিম তীর পরিদর্শনের পর তিনি বলেন, “আমরা একটি সংকটময় মোড়ে রয়েছি, এখন নেওয়া সিদ্ধান্ত নির্ধারণ করবে হাজার হাজার শিশু বাঁচবে কি মারা যাবে।”

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, অপুষ্টির কারণে ১৬২ জনের মৃত্যু হয়েছে, যার মধ্যে ৯২ জন শিশু। শনিবার ১৭ বছর বয়সী আতেফ আবু খাতের অপুষ্টিতে মারা গেছেন বলে আল-শিফা হাসপাতাল সূত্রে আল জাজিরা জানিয়েছে। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলের যুদ্ধে কমপক্ষে ৬০,০০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যার মধ্যে ১৮,০০০ শিশু। ধ্বংসস্তূপের নিচে আরও অনেকে মৃত বলে ধারণা করা হচ্ছে। খান ইউনিসে আশ্রয় নেওয়া সাংবাদিক আহমেদ আল-নাজ্জার বলেন, গাজায় “ইসরায়েলি ইঞ্জিনিয়ারড নৃশংস বিশৃঙ্খলা” চলছে। তিনি আল জাজিরাকে বলেন, “বোমাবর্ষণ, জোরপূর্বক অনাহার এবং নিরাপত্তাহীনতার ভয়ে আমরা যন্ত্রণায় রয়েছি। রাস্তায় পুলিশ বা নিরাপত্তা বাহিনীর কোনো উপস্থিতি নেই।” ইসরায়েল মার্চ মাসে খাদ্য সাহায্য বন্ধ করে দেয়, মে মাসে কিছুটা শিথিল করা হয়। ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফ্রেমওয়ার্ক (জিএইচএফ) ত্রাণ বিতরণে অভিযুক্ত হয়েছে মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য। জাতিসংঘ জানিয়েছে, ত্রাণ পেতে গিয়ে ১,৩০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, কিছু ক্ষেত্রে ইসরায়েলি সেনা বা যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা ঠিকাদারদের গুলিতে।
আন্তর্জাতিক চাপে ইসরায়েল সম্প্রতি আরও ত্রাণ প্রবেশের অনুমতি দিয়েছে এবং সামরিক অভিযানে “কৌশলগত বিরতি” ঘোষণা করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ শুক্রবার জিএইচএফ ত্রাণ কেন্দ্র পরিদর্শন করেছেন। পশ্চিমা ও আরব দেশগুলো এয়ারড্রপ শুরু করলেও, চাইবান বলেন, এয়ারড্রপ রাস্তার কনভয়ের তুলনায় পর্যাপ্ত নয়। তিনি প্রতিদিন ৫০০ ত্রাণ ট্রাকের প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিয়ে বলেন, গাজার শিশুদের জন্য একটি টেকসই যুদ্ধবিরতি এবং রাজনৈতিক সমাধান প্রয়োজন।
রাস্তার কাজে অনিয়ম, অস্বীকার করায় এলজিইডি কর্মচারীকে গণপিটুনি

রাস্তার কাজে অনিয়ম, অস্বীকার করায় এলজিইডি কর্মচারীকে গণপিটুনি

পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলায় রাস্তার নির্মাণ কাজে অনিয়মের অভিযোগ অস্বীকার করায় স্থানীয় গ্রামবাসীদের হাতে গণপিটুনির শিকার হয়েছেন উপজেলা এলজিইডির কার্য-সহকারী জাহিদুল ইসলাম। শনিবার (২ আগস্ট, ২০২৫) দুপুরে ময়দানদীঘি ইউনিয়নের গাইঘাটা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গাইঘাটায় প্রায় এক কিলোমিটার দীর্ঘ একটি রাস্তার নির্মাণ কাজ চলছিল। কাজের মান খারাপ হওয়ায় স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়। শনিবার দুপুরে বিক্ষুব্ধ জনতা কাজ বন্ধ করে দিলে ঘটনাস্থলে পৌঁছান জাহিদুল ইসলাম। তিনি অনিয়মের অভিযোগ অস্বীকার করলে উত্তেজিত জনতা তাকে মারধর করে। পরে তিনি একটি ধানক্ষেতে আশ্রয় নিয়ে কোনোমতে জীবন রক্ষা করেন।

স্থানীয় ইউপি সদস্য বেলাল হোসেন জানান, এই রাস্তার কাজ দীর্ঘদিন ধরে চলছে। পাশের আরেকটি রাস্তার কাজ শেষ হলেও এটি বারবার অনিয়মের কারণে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। স্থানীয়দের অভিযোগের পর তিনি নিজে গিয়ে দেখেন, কাজের মান সত্যিই নিম্নমানের। তিনি স্থানীয়দের সহযোগিতায় কাজ বন্ধ করেন। স্থানীয় বাসিন্দা ইউসুফ আলী বলেন, রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় তিনি দেখেন, সামান্য ব্যবহারে কার্পেটিং উঠে যাচ্ছে। মিস্ত্রিরা তখন হাতুড়ি দিয়ে তা ঠিক করার চেষ্টা করছিলেন। আরেক যুবক মাসুদ রানা বলেন, কাদা ও ধুলাবালির ওপরেই কার্পেটিং করা হচ্ছিল। প্রতিবাদ করলে তাকে হুমকি দেওয়া হয়। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মিস্ত্রি আবুল কালাম অনিয়ম স্বীকার করে বলেন, বৃষ্টির কারণে কিছু জায়গায় বালু জমেছিল, তবুও কার্পেটিং করা হয়। ময়লা পরিষ্কার না করায় কার্পেটিং উঠে গেছে। অভিযুক্ত জাহিদুল ইসলাম বলেন, অফিস থেকে তাকে কাজ দেখতে যেতে বলা হয়। গিয়ে দেখেন স্থানীয়রা কাজ বন্ধ করেছে। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, কোনো অনিয়ম হয়নি। তখনই জনতা উত্তেজিত হয়ে তাকে মারধর করে। তিনি জানান, ১০ দিন আগে বিটুমিনাস প্রাইম কোট দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু বৃষ্টির কারণে বালু জমে যায়। পরিষ্কার না করেই কার্পেটিং করায় সমস্যা হয়েছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এমআর ট্রেডার্সের প্রতিনিধি মিজানুর ইসলাম জানান, এটি ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রকল্প। তিনি সাব-ঠিকাদার হিসেবে যুক্ত ছিলেন এবং বিস্তারিত এখন মনে নেই।
জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী মাহমুদ জামান বলেন, রাস্তার কাজে অনিয়মের অভিযোগ পেয়েছেন এবং স্থানীয়রা কাজ বন্ধ করেছে। তবে কারও গণপিটুনির খবর তিনি এখনো পাননি।
ডাকাতির প্রস্তুতিকালে আটকরা যুবদলের কর্মী নন: যশোর যুবদলের সংবাদ সম্মেলন

ডাকাতির প্রস্তুতিকালে আটকরা যুবদলের কর্মী নন: যশোর যুবদলের সংবাদ সম্মেলন

যশোর প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে জেলা যুবদলের নেতারা।

যশোরের মণিরামপুরে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে খেলনা পিস্তল ও ধারালো চাকুসহ আটক চারজনকে যুবদলের কর্মী হিসেবে দাবি করার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে জেলা যুবদল।

শনিবার (২ আগস্ট) যশোর প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে জেলা যুবদলের পক্ষ থেকে এ দাবি প্রত্যাখ্যান করা হয়।

জেলা যুবদলের সদস্য সচিব আনছারুল হক রানা সংবাদ সম্মেলনে বলেন, গত ১ আগস্ট রাতে মণিরামপুর পৌরশহরের ‘রজনী নিবাস’ হোটেলের ৪০৮ নম্বর কক্ষ থেকে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে চারজনকে আটক করে পুলিশ। পরবর্তীতে বিভিন্ন গণমাধ্যমে তাদের যুবদলের কর্মী হিসেবে পরিচয় দেওয়া হয়, যা সম্পূর্ণ মিথ্যা। আটকরা যুবদলের সঙ্গে কোনোভাবেই জড়িত নয়। তিনি আরও বলেন, একটি মহল যুবদলকে হেয় করার উদ্দেশে ইচ্ছাকৃতভাবে এই মিথ্যাচার করেছে। মণিরামপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট শহীদ ইকবাল হোসেন আটকদের যুবদলের সক্রিয় কর্মী হিসেবে নিশ্চিত করেছেন বলে গণমাধ্যমে যে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে, সে বিষয়ে জেলা যুবদলের আহ্বায়ক এম তমাল আহমেদ বলেন, বিএনপির কোনো নেতা কীভাবে জানবেন যে তারা যুবদল করে কিনা। যদি আটকরা যুবদলের সঙ্গে জড়িত থাকত, তবে দলীয়ভাবে তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হতো। সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন—সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আশরাফুল কবির সুমন, যুগ্ম আহ্বায়ক কবির হোসেন বাবু, আমিনুর রহমান মধু, নাজমুল হোসেন বাবুল প্রমুখ।
উল্লেখ্য, গত ১ আগস্ট রাতে একটি খেলনা পিস্তল ও একটি সুইচ গিয়ার চাকুসহ পৌরসভার গাংড়া এলাকার আলম খান, দুর্গাপুরের টুটুল, কদমবাড়িয়া গ্রামের সাইফুল ইসলাম এবং খেদাপাড়ার আবু সিনহাকে আটক করে পুলিশ। পুলিশ বাদী হয়ে তাদের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেছে এবং শুক্রবার বিকেলে আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।[](https://www.kalbela.com/country-news/209974)[](https://www.amarsangbad.com/country/news/320317)
ত্রিদেশীয় সিরিজের সূচি ঘোষণা করল পাকিস্তান

ত্রিদেশীয় সিরিজের সূচি ঘোষণা করল পাকিস্তান

মূলত চলতি মাসে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলার কথা ছিল। কিন্তু দ্বিপক্ষীয় সিরিজের পরিবর্তে পাকিস্তান সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) ও আফগানিস্তানকে নিয়ে ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজ আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

এশিয়া কাপকে সামনে রেখে প্রস্তুতির অংশ হিসেবে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) এই ত্রিদেশীয় সিরিজের চূড়ান্ত সূচি ঘোষণা করেছে। টুর্নামেন্টটি ২৯ আগস্ট শুরু হয়ে ৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলবে। সিরিজের সব ম্যাচ সংযুক্ত আরব আমিরাতের শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে।

৯ সেপ্টেম্বর থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের মাটিতে শুরু হবে এশিয়া কাপের ১৭তম আসর। এই ত্রিদেশীয় সিরিজ পাকিস্তান, আরব আমিরাত ও আফগানিস্তানের জন্য এশিয়া কাপের প্রস্তুতির সেরা মঞ্চ হিসেবে কাজ করবে। সিরিজ শেষ হওয়ার এক দিন পরই দলগুলো এশিয়া কাপে অংশ নেবে। সিরিজের প্রথম ম্যাচ ২৯ আগস্ট পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে। লিগ পর্বে প্রতিটি দল একে অপরের সঙ্গে দুইবার করে মুখোমুখি হবে। এরপর পয়েন্ট তালিকার শীর্ষ দুই দল ফাইনালে খেলবে। **ত্রিদেশীয় সিরিজের সূচি:** - ২৯ আগস্ট: পাকিস্তান বনাম আফগানিস্তান - ৩০ আগস্ট: পাকিস্তান বনাম সংযুক্ত আরব আমিরাত - ১ সেপ্টেম্বর: আফগানিস্তান বনাম আরব আমিরাত - ২ সেপ্টেম্বর: পাকিস্তান বনাম আফগানিস্তান - ৪ সেপ্টেম্বর: পাকিস্তান বনাম আরব আমিরাত - ৫ সেপ্টেম্বর: আফগানিস্তান বনাম আরব আমিরাত
- ৭ সেপ্টেম্বর: ফাইনাল