অনলাইনে বিমানের টিকিট কাটার অন্যতম বড় প্ল্যাটফর্ম ‘ফ্লাইট এক্সপার্ট’ শত শত কোটি টাকা নিয়ে বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে গেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তথ্য অনুযায়ী, বহু এজেন্সি এই প্রতিষ্ঠানে বিপুল পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ করেছিল।
শনিবার (২ আগস্ট, ২০২৫) ফ্লাইট এক্সপার্টের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করা সম্ভব হচ্ছে না। প্রতিষ্ঠানটির অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে সর্বশেষ পোস্ট ছিল হজ নিয়ে, যেখানে ২০২৬ সালের হজের রেজিস্ট্রেশন শুরু এবং হজ প্যাকেজে মূল্য ছাড়ের কথা জানানো হয়েছিল। *হলিডে ট্রাভেলার্স অব বাংলাদেশ* নামে একটি ফেসবুক গ্রুপে একজন ব্যবহারকারী পোস্ট করে লিখেছেন, “ফ্লাইট এক্সপার্ট থেকে যারা টিকিট করেছেন কিন্তু এখনো ফ্লাই করেননি, তারা দয়া করে টিকিটের বর্তমান স্ট্যাটাস চেক করুন। আমি বারবার বলি, দাম কম না খুঁজে মানসম্মত সার্ভিস খুঁজুন। ফ্লাইট এক্সপার্টের সব সেবা বন্ধ হয়ে গেছে।”
ফ্লাইট এক্সপার্ট ২০১৭ সালের মার্চ মাস থেকে বাংলাদেশে কার্যক্রম শুরু করে। একটি লঞ্চ ইভেন্টের মাধ্যমে তারা তাদের প্ল্যাটফর্ম চালু করেছিল। প্রতিষ্ঠার পর থেকে এটি দ্রুত বাংলাদেশের অনলাইন ট্রাভেল ইন্ডাস্ট্রিতে প্রভাবশালী নাম হয়ে ওঠে এবং ফ্লাইট টিকেটিং শিল্পে বড় জায়গা দখল করে। দেশি-বিদেশি বিভিন্ন এয়ারলাইন্সের টিকিট বুকিং, হোটেল রিজার্ভেশন, ট্যুর প্যাকেজ এবং ভিসা প্রক্রিয়াকরণের মতো নানা ধরনের সেবা প্রদান করতো এই প্ল্যাটফর্ম। সাশ্রয়ী মূল্যে সহজে ফ্লাইট টিকিট বুক করার সুবিধার কারণে এটি গ্রাহকদের কাছে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিল।