Saturday, September 6, 2025

যুদ্ধ মন্ত্রণালয়’ নামকরণে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার খরচ হতে পারে: প্রতিবেদন

যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা বিভাগের সদর দপ্তর, পেন্টাগন। ছবি: সংগৃহীত

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রতিরক্ষা বিভাগের নাম পরিবর্তন করে ‘যুদ্ধ মন্ত্রণালয়’ বা ‘যুদ্ধ বিভাগ’ নামকরণের জন্য একটি নির্বাহী আদেশে সই করেছেন। এই পদক্ষেপে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার খরচ হতে পারে বলে পলিটিকোর এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

পলিটিকো জানিয়েছে, পেন্টাগনের অনেকেই এই নির্বাহী আদেশের ফলে সংস্থাটির পুনর্গঠন নিয়ে হতাশা, ক্ষোভ এবং বিভ্রান্তি প্রকাশ করেছেন। কর্মকর্তাদের উদ্ধৃতি দিয়ে সংবাদমাধ্যমটি বলছে, এই পরিবর্তনের জন্য বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার ব্যয় হতে পারে, কিন্তু এটি সামরিক বাহিনীর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় কীভাবে কাজে আসবে, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়ে গেছে।

একজন প্রাক্তন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা পলিটিকোকে বলেছেন, “এটি সম্পূর্ণভাবে দেশীয় রাজনৈতিক দর্শকদের জন্য। এতে কেবল লাখ লাখ ডলার খরচই হবে না; এটি চীনা বা রাশিয়ান হিসাব-নিকাশের ওপর কোনো প্রভাব ফেলবে না।” তিনি আরও বলেন, “এর চেয়েও খারাপ, এটি আমাদের শত্রুরা যুক্তরাষ্ট্রকে যুদ্ধবাজ এবং আন্তর্জাতিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি হিসেবে চিত্রিত করতে ব্যবহার করবে।” পলিটিকোর প্রতিবেদন অনুযায়ী, দেশের ৫০টি অঙ্গরাজ্যে প্রতিরক্ষা বিভাগের ৭ লাখেরও বেশি স্থাপনার সিল পরিবর্তন করতে হতে পারে। ছয়টি সামরিক শাখা এবং আরও কয়েক ডজন সংস্থার লেটারহেড, সাইনবোর্ড এবং অন্যান্য উপকরণে পরিবর্তন আনতে হবে।
পলিটিকো আরও জানিয়েছে, আনুষ্ঠানিক নাম পরিবর্তনের জন্য সম্ভবত কংগ্রেসের অনুমোদন প্রয়োজন হবে। তবে আলোচনার সঙ্গে পরিচিত একজন ব্যক্তি বলেছেন, হোয়াইট হাউস কংগ্রেসের ভোট এড়ানোর উপায় খুঁজছে।

রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুসারে, ১৯৪৯ সাল পর্যন্ত মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগকে ‘যুদ্ধ বিভাগ’ নামে ডাকা হত। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর কংগ্রেস সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী এবং বিমানবাহিনীকে একীভূত করে এবং পারমাণবিক যুগে সংঘাত প্রতিরোধের দিকে মনোনিবেশ করায় ‘প্রতিরক্ষা বিভাগ’ নামটি গ্রহণ করা হয়।

আবার নাম পরিবর্তন করা ব্যয়বহুল হবে এবং এর জন্য কেবল পেন্টাগনের সাইনবোর্ড ও লেটারহেডই নয়, বিশ্বজুড়ে সামরিক স্থাপনাগুলোতেও আপডেট আনতে হবে।

Share This Post

শেয়ার করুন

Author:

Note For Readers: The CEO handles all legal and staff issues. Claiming human help before the first hearing isn't part of our rules. Our system uses humans and AI, including freelance journalists, editors, and reporters. The CEO can confirm if your issue involves a person or AI.