Tuesday, September 9, 2025

থলেভর্তি টাকা ছিনতাই, ধরতে গেলে দোকানের কর্মচারীকে কোপাল দুর্বৃত্ত

চট্টগ্রাম নগরের মোহরার কাজীরহাট এলাকায় আবুল খায়ের গ্রুপের একজন পরিবেশকের ২০ লাখ টাকা লুটের ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার সকাল পৌনে আটটার দিকে দোকানের সামনে থেকে থলেভর্তি টাকা ছিনিয়ে নেয় একদল দুর্বৃত্ত। টাকা নিয়ে পালানোর সময় ধাওয়া দিলে দুর্বৃত্তরা পরিবেশকের এক কর্মচারীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে আহত করে এবং পরিবেশককে মারধর করে।

পুলিশ ও ভুক্তভোগী প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, কাজীরহাট এলাকায় আবুল খায়ের গ্রুপের ভোগ্যপণ্যের পরিবেশক রফিক আহমদ। মঙ্গলবার সকালে তিনি তাঁর দুই কর্মচারীসহ রফিক স্টোর নামের নিজের প্রতিষ্ঠান খুলতে যান। ব্যাংকে জমা দেওয়ার জন্য রাখা ২০ লাখ টাকা ছিনিয়ে নেয় ছিনতাইকারীরা। দোকানের এক কর্মচারী তাদের ধরতে গেলে তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয়।

আবুল খায়ের গ্রুপের ব্যবস্থাপক আবু তালেব প্রথম আলোকে বলেন, নিরাপত্তার কারণে রফিক আহমদ প্রতিদিন বিক্রির টাকা রাতে বাসায় নিয়ে যান এবং পরদিন সকালে দোকানে এসে ব্যাংকে জমা দেন। মঙ্গলবারও তিনি দুই কর্মচারীসহ টাকা নিয়ে দোকানে আসেন। দোকান খোলার সময় তিন ব্যক্তি হঠাৎ এসে টাকার থলেটি ছিনিয়ে নিয়ে দৌড় দেন। তাদের হাতে ধারালো অস্ত্র ও পিস্তল ছিল। আবু তালেব জানান, রফিক, তাঁর দুই কর্মচারী এবং আশপাশের লোকজন দুর্বৃত্তদের ধাওয়া করেন। এলাকায় থাকা পুলিশও তাদের পিছু নেয়। এ সময় দুর্বৃত্তরা দোকানের কর্মচারী শাহ আলমকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে আহত করে এবং রফিক আহমদকে মারধর করে। তবে স্থানীয়রা সুমন নামের একজনকে আটক করতে সক্ষম হয়। ২০২০ সালে এই এলাকায় আবুল খায়ের গ্রুপের প্রায় ৪৭ লাখ টাকার সিগারেট লুটের ঘটনা ঘটেছিল বলে জানান আবু তালেব। এবারের ঘটনায় তারা আইনি পদক্ষেপ নেবেন বলে জানান।
চান্দগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহেদুল কবির প্রথম আলোকে বলেন, লুট হওয়া টাকার কিছু অংশ উদ্ধার করা হয়েছে। দোকান খোলার সময় কর্মচারী টাকার থলে নিচে রেখেছিলেন, আর সেই সুযোগে ছিনতাইকারীরা টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়। ধাওয়া দিলে তারা কর্মচারীকে কুপিয়ে আহত করে এবং পুলিশ সদস্যদেরও কোপানোর চেষ্টা করে। পুলিশ ফাঁকা গুলি ছুড়লে একজনকে আটক করা হয়। অন্যদের আটকের চেষ্টা চলছে।

Share This Post

শেয়ার করুন

Author:

Note For Readers: The CEO handles all legal and staff issues. Claiming human help before the first hearing isn't part of our rules. Our system uses humans and AI, including freelance journalists, editors, and reporters. The CEO can confirm if your issue involves a person or AI.