অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ জানিয়েছেন, ব্যাংক বা নন-ব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠান একীভূত হলেও গ্রাহকরা তাদের আমানত ফেরত পাবেন। মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫) সচিবালয়ে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
পাঁচটি ইসলামী ব্যাংক একীভূত করার সিদ্ধান্তের পর আরও কোনো ব্যাংক একীভূত হচ্ছে কি না, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, “সিদ্ধান্ত হয়েছে, তবে আমি তা প্রকাশ করব না। বাংলাদেশ ব্যাংক একটি কর্মপরিকল্পনা তৈরি করেছে। আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর একটি বৈঠকে নীতিগতভাবে বলেছি, আমরা এটি করব, কিন্তু ব্যাংকগুলোর নাম বলব না।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা নন-ব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোও পুনর্গঠন করব। এটি আমাদের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। যত দ্রুত সম্ভব আমরা এটি শুরু করব।”
বাংলাদেশ ব্যাংক প্রায় ২২টি প্রতিষ্ঠান চিহ্নিত করেছে, যেগুলো ভালো চলছে না, যার মধ্যে লিজিং কোম্পানিও রয়েছে।
একীভূতকরণে গ্রাহকদের ভোগান্তি হবে কি না, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, “এটি নিশ্চিত করা হয়েছে যে গ্রাহকরা তাদের টাকা ফেরত পাবেন, সেটা আমানত হোক বা এফডিআর। বেশি টাকা থাকলে হয়তো কিছুটা সময় লাগতে পারে।”
**জাপান সফর প্রসঙ্গ**
সাম্প্রতিক জাপান সফর নিয়ে তিনি বলেন, “জাপান আমাদের সবচেয়ে বড় দাতা। তাদের সঙ্গে আমাদের বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প রয়েছে, বিশেষ করে যোগাযোগ খাতে। আমি এডিবি ও জাইকার সঙ্গে কথা বলেছি, জাপানের অর্থমন্ত্রী এবং বাণিজ্য ও বিনিয়োগ প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গেও আলোচনা হয়েছে। আমাদের একটি বড় টিম ইকোনমিক পার্টনারশিপ অ্যাগ্রিমেন্ট (ইপিএ) নিয়ে আলোচনার জন্য গিয়েছিল। জাপান এ বিষয়ে খুবই আগ্রহী।”
তিনি আরও বলেন, “প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, আমরা যেন জাপানে শ্রমিক পাঠাই। তিনি এক লাখ শ্রমিকের কথা বলেছেন। আমরা সেই লক্ষ্য পূরণের চেষ্টা করছি। জাপানি ভাষার জন্য এন-১ থেকে এন-৫ লেভেলের দক্ষতা প্রয়োজন। ন্যূনতম এন-৩ লেভেল থাকলে জাপানে গিয়ে চাকরি পাওয়া যায়। প্রক্রিয়াটি কিছুটা ধীরগতির হয়েছে।”
অর্থ উপদেষ্টা জানান, “এখানে কোনো দালালের সুযোগ নেই। আমরা দক্ষতা উন্নয়নের মাধ্যমে শ্রমিক পাঠাব। জাপানে কৃষি প্রক্রিয়াকরণে শ্রমিকের ঘাটতি রয়েছে। উচ্চশিক্ষার জন্যও আমি জাপানের কাছে সুযোগ চেয়েছি।”
Note For Readers:
The CEO handles all legal and staff issues. Claiming human help before the first hearing isn't part of our rules.
Our system uses humans and AI, including freelance journalists, editors, and reporters.
The CEO can confirm if your issue involves a person or AI.
by 
