আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এবং একটি অবাধ, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ জাতীয় নির্বাচন নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ পুলিশ বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এই কার্যক্রমের অংশ হিসেবে দেড় লাখেরও বেশি পুলিশ সদস্যকে বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫) সরকারি কর্মকর্তারা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।পুলিশের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) কাজী জিয়া উদ্দিন জানান, “একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ জাতীয় নির্বাচন নিশ্চিত করতে আমরা দেড় লাখ বা তারও বেশি পুলিশ সদস্যকে প্রয়োজনীয় সব ধরনের প্রশিক্ষণ দেব।” তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, আসন্ন নির্বাচন দেশের ইতিহাসে একটি মাইলফলক হবে। প্রশিক্ষণ কর্মসূচিটি সুপরিকল্পিতভাবে সাজানো হয়েছে। পুলিশ সদর দফতরের মানবসম্পদ (এইচআর) উন্নয়ন বিভাগ গত তিন মাসে নির্বাচন বিশেষজ্ঞ এবং আইনজীবীদের পরামর্শ নিয়ে নয়টি প্রশিক্ষণ মডিউল তৈরি করেছে। পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এবং অতিরিক্ত আইজিপি (এইচআর)-এর নেতৃত্বে এই কোর্সটি ডিজাইন করা হয়েছে, যা নির্বাচনকালীন যেকোনো আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি মোকাবিলায় পুলিশ সদস্যদের প্রস্তুত করবে।
এই প্রশিক্ষণের জন্য দেশের ১৩০টি ছোট এবং চারটি বড় প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ব্যবহার করা হবে। প্রশিক্ষণকে কার্যকর করতে দুটি প্রামাণ্যচিত্র, একটি ১৫ মিনিটের অডিও-ভিজ্যুয়াল কনটেন্ট এবং একটি ৯ মিনিটের ফিল্ম তৈরি করা হয়েছে। এছাড়া একটি বুকলেটও বিতরণ করা হবে। ইতোমধ্যে এই কার্যক্রম শুরু হয়েছে। গত ৩১ আগস্ট থেকে ২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ঢাকার পুলিশ সদর দফতরে মডিউল অনুযায়ী ১৫০ জন মাস্টার ট্রেইনারকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। আগামীতে ১৯টি পুলিশ প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে ১,২৯২ জন ‘ট্রেইনার অব ট্রেইনার্স’ (টিওটি) তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে। এই মাস্টার ট্রেইনাররা পরবর্তীতে দেড় লাখেরও বেশি পুলিশ সদস্যকে প্রশিক্ষণ দেবেন।
প্রশিক্ষণের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো বাস্তবমুখী মহড়া। পুলিশ সদর দফতরের কর্মকর্তারা জানান, নির্বাচনের সময় সম্ভাব্য পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য সব ট্রেইনারকে বাস্তবমুখী মহড়ার মাধ্যমে হাতে-কলমে অভিজ্ঞতা দেওয়া হবে। আগামী সপ্তাহের শেষের দিকে রাজারবাগ পুলিশ লাইনসে এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হবে। এই ব্যাপক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে নির্বাচনকালীন সর্বাত্মক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ পুলিশ সম্পূর্ণ প্রস্তুত বলে মনে করা হচ্ছে।
Friday, September 5, 2025
Author: DhakaGate Desk
Note For Readers: The CEO handles all legal and staff issues. Claiming human help before the first hearing isn't part of our rules. Our system uses humans and AI, including freelance journalists, editors, and reporters. The CEO can confirm if your issue involves a person or AI.
এ সম্পর্কিত আরও খবর
- ফেইসবুক মন্তব্য