ফরিদপুর-৪ আসন থেকে ভাঙ্গার দুটি ইউনিয়ন কেটে নেওয়ার প্রতিবাদে স্থানীয়রা ফরিদপুর-বরিশাল মহাসড়কে গাছ ফেলে অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন। এর ফলে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার পণ্য ও যাত্রীবাহী যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
শুক্রবার সকাল ৮টার পর থেকে ফরিদপুর-বরিশাল মহাসড়কের পুকুরিয়াসহ ভাঙ্গা-গোপালগঞ্জ রুটের সোয়াদি ও মনসুরাবাদে এ অবরোধ শুরু হয়। এতে সকাল ৮টা থেকে ভাঙ্গার উপর দিয়ে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য ৩০০ সংসদীয় আসনের পুনর্নির্ধারিত সীমানার তালিকা প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এতে ফরিদপুর-৪ আসনের অন্তর্ভুক্ত ভাঙ্গা উপজেলার আলগী ও হামিরদি ইউনিয়নকে কেটে নগরকান্দা ও সালথা উপজেলার ফরিদপুর-২ আসনে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ইসির এ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে তালিকা প্রকাশের পর থেকেই স্থানীয়রা ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং সড়ক অবরোধের কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঘোষণা অনুযায়ী শুক্রবার সকাল থেকে পুকুরিয়া, সোয়াদি ও মনসুরাবাদে মহাসড়কের উপর গাছ ফেলে এবং টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকেন বিক্ষোভকারীরা। তারা ফরিদপুর-৪ আসন থেকে ভাঙ্গা উপজেলার দুটি ইউনিয়ন কেটে নেওয়ার পরিবর্তে ভাঙ্গা নিয়ে গঠিত ফরিদপুর-৫ আসন পুনর্প্রবর্তনের দাবি জানিয়েছেন।
ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রোকিবুজ্জামান বলেন, ফরিদপুর-ভাঙ্গা-বরিশাল মহাসড়কের পুকুরিয়া বাসস্ট্যান্ড ও হামিরদি বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এবং ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা-খুলনা মহাসড়কের মুনসুরাবাদ বাসস্ট্যান্ডে স্থানীয়রা বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ মিছিল করছেন। এতে মহাসড়কের সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, ভাঙ্গার মানুষের স্বার্থ ও ইতিহাস উপেক্ষা করে দুটি ইউনিয়ন ফরিদপুর-২ আসনে সংযুক্ত করা হচ্ছে। তারা সরকারের এ সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবি জানিয়েছেন।
আলগী ইউনিয়নের মিজানুর রহমান বলেন, “আমাদের ভোটাধিকার ও স্বার্থকে এভাবে উপেক্ষা করা যাবে না। আমরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করব। দুটি ইউনিয়ন ভাঙ্গা উপজেলার মধ্যে রাখতে হবে।”
হামিরদী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান খোকন বলেন, “সরকারি সিদ্ধান্তের কারণে মহাসড়ক অবরোধ করা হয়েছে। আমাদের দাবি মানতে হবে।”
ভাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান বলেন, “আপনাদের দাবি নিয়ে ডিসির সঙ্গে কথা বলেছি। আশ্বস্ত করছি, দ্রুত ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা করব।”
Note For Readers:
The CEO handles all legal and staff issues. Claiming human help before the first hearing isn't part of our rules.
Our system uses humans and AI, including freelance journalists, editors, and reporters.
The CEO can confirm if your issue involves a person or AI.