টাঙ্গাইল, ২ আগস্ট, ২০২৫: টাঙ্গাইলে এক মৎস্য খামারির কাছে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ৫ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারের ঘটনা ঘটেছে শুক্রবার রাতে ও শনিবার ভোরে টাঙ্গাইল পৌরসভার সন্তোষ এলাকায়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন—টাঙ্গাইল শহর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও ৭ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি জুবায়ের আহমেদ, শহর বিএনপির ধর্মবিষয়ক সম্পাদক ও ৮ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি গোলাম রাব্বানী, শহর বিএনপির সদস্য ও ৮ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম মিয়া এবং দলটির কর্মী আবদুল্লাহ আল মামুন ও সাব্বির মিয়া। অভিযোগকারী আজহারুল ইসলামও সন্তোষ এলাকার বাসিন্দা।
পুলিশ ও অভিযোগকারীর সূত্রে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার রাতে আজহারুলের এক কর্মচারীর কাছে চাঁদা দাবির একটি চিঠি দিয়ে যান অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তি। শুক্রবার আজহারুল চিঠিটি হাতে পান। চিঠিটি ‘কিলার গ্রুপ, হত্যাকারী দল’-এর প্যাডে লেখা, যাতে স্লোগান হিসেবে লেখা ছিল, ‘চাঁদা দে, নইলে জীবন দে’। চিঠিতে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে ৩ আগস্ট সন্ধ্যা ৭টার সময় সাবেক সংসদ সদস্য কাগমারী মাহমুদুল হাসানের বাসার সামনের একটি গাছের নিচে রেখে যেতে বলা হয়। এতে প্রশাসন বা পুলিশের সঙ্গে কথা না বলার পরামর্শ দেওয়া হয় এবং চাঁদা না দিলে তাঁকে হত্যা করে লাশ গুম করার হুমকি দেওয়া হয়। শুক্রবার চিঠিটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে, যার পর এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এ ঘটনায় শনিবার সকালে আজহারুল ইসলাম টাঙ্গাইল সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন, যাতে অজ্ঞাতপরিচয় কয়েকজনকে আসামি করা হয়েছে। টাঙ্গাইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তানভীর আহমেদ গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, গোয়েন্দা পুলিশের সহযোগিতায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে আবদুল্লাহ আল মামুন ও সাব্বির মিয়া আদালতে জবানবন্দি দিতে সম্মত হয়েছেন এবং শনিবার তাঁদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে, টাঙ্গাইল শহর বিএনপির সভাপতি মেহেদী হাসান গ্রেপ্তারের ঘটনাকে ষড়যন্ত্র হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, ‘এটি রাজনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত ও হেয় করার চেষ্টা। এই ব্যক্তিদের এলাকায় কোনো বদনাম নেই।’
Note For Readers:
The CEO handles all legal and staff issues. Claiming human help before the first hearing isn't part of our rules.
Our system uses humans and AI, including freelance journalists, editors, and reporters.
The CEO can confirm if your issue involves a person or AI.