Saturday, July 5, 2025

মোহাম্মদপুর জেনেভা ক্যাম্পে মাদক বিক্রির টাকা উদ্ধারের ভিডিওকে সারজিস আলমের নামে মিথ্যা প্রচার

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমের বন্ধুর বাসা থেকে তিন বস্তা টাকা উদ্ধারের দাবিতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিও মিথ্যা বলে নিশ্চিত করেছে তথ্য যাচাইকারী প্রতিষ্ঠান রিউমর স্ক্যানার। শনিবার (৫ জুলাই) প্রতিষ্ঠানটি তাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

রিউমর স্ক্যানারের প্রতিবেদনে বলা হয়, ভাইরাল ভিডিওটি আসলে মোহাম্মদপুর জেনেভা ক্যাম্পে মাদক বিক্রির টাকাসহ এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তারের ঘটনার। এ ছাড়া, সামাজিক মাধ্যমে প্রচারিত পোস্টগুলোতে সারজিস আলমকে সরকারের উপদেষ্টা বলে দাবি করা হলেও তিনি সরকারের উপদেষ্টা নন। প্রতিষ্ঠানটি ভিডিও থেকে সংগ্রহ করা কিছু ছবি এবং দুটি ভিডিওর তুলনামূলক বিশ্লেষণের মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। তাদের অনুসন্ধানে জানা যায়, গত ৫ জুন ২০২৫-এ ‘জেনেভা ক্যাম্পে অভিযান: মাদক বিক্রির আড়াই কোটি টাকাসহ গ্রেপ্তার ১০’ শীর্ষক একটি প্রতিবেদন থেকে ফুটেজ নিয়ে এই মিথ্যা তথ্য ছড়ানো হয়েছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত ৪ জুন রাতে সেনাবাহিনী ও র‌্যাব-২ যৌথভাবে মোহাম্মদপুরের হুমায়ুন রোড এলাকায় অবস্থিত বিহারি ক্যাম্পে অভিযান চালিয়ে মাদক বিক্রির ২ কোটি ৪৫ লাখ টাকা, মাদকদ্রব্য ও অস্ত্রসহ ১০ জনকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- মো. ইসহাক আহমেদ (৩৮), মো. চুম্মন (২৫), মো. রবিউল ইসলাম (৩০), মো. রায়হান (১৮), মো. শহিদুল ইসলাম বিজয় (১৮), মো. ইমরান সাইদ (৪২), মো. রাসেল (২২), মো. ইমরান (৩২), মো. শাহাদাত (২০) এবং মো. নয়ন (২৩)। রিউমর স্ক্যানার জানিয়েছে, মোহাম্মদপুর জেনেভা ক্যাম্পে মাদক বিক্রির অভিযোগে টাকাসহ গ্রেপ্তারের এই দৃশ্যকে সারজিস আলমের বন্ধুর বাসা থেকে তিন বস্তা টাকা উদ্ধারের ঘটনা বলে ভিত্তিহীনভাবে প্রচার করা হয়েছে। সুতরাং, সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এই তথ্য সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং বিভ্রান্তিকর। জনসাধারণকে এ ধরনের ভুয়া তথ্যের ব্যাপারে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে রিউমর স্ক্যানার।

Share This Post

শেয়ার করুন

Author:

Note For Readers: The CEO handles all legal and staff issues. Claiming human help before the first hearing isn't part of our rules. Our system uses humans and AI, including freelance journalists, editors, and reporters. The CEO can confirm if your issue involves a person or AI.