Wednesday, July 23, 2025

ওমান সাগরে যুক্তরাষ্ট্র-ইরান মুখোমুখি, পিছু হটল মার্কিন যুদ্ধজাহাজ*

ওমান সাগরে বুধবার (২৩ জুলাই, ২০২৫) মার্কিন নৌবাহিনীর একটি ডেস্ট্রয়ার এবং ইরানি নৌবাহিনীর একটি হেলিকপ্টারের মধ্যে মুখোমুখি বাদানুবাদের ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য সাগরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে, তবে তা গোলাগুলির পর্যায়ে পৌঁছায়নি। ইরানের সতর্কতার পর মার্কিন যুদ্ধজাহাজটি তেহরানের নিয়ন্ত্রণাধীন জলসীমা থেকে পথ পরিবর্তন করে পিছু হটে। খবর রয়টার্স ও আনাদোলু এজেন্সির।

তেহরান দাবি করেছে, ইরানের সতর্কতার পর মার্কিন ডেস্ট্রয়ার তাদের নজরদারি এলাকা থেকে সরে গেছে। মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন বাহিনীর তত্ত্বাবধানে থাকা নৌবাহিনী এবং মার্কিন সেন্ট্রাল কমান্ড এ বিষয়ে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য করেনি।

ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানায়, ইরান বুধবার মার্কিন ডেস্ট্রয়ার ‘ফিটজেরাল্ড’-কে তেহরানের নজরদারির অধীনে থাকা জলসীমা থেকে পথ পরিবর্তনের জন্য সতর্ক করেছিল, যার ফলে জাহাজটি সরে যায়। গত মাসে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে মার্কিন হামলার পর এই ঘটনা ঘটল। ওয়াশিংটন দাবি করে, ওই স্থাপনাগুলো পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির কর্মসূচির অংশ ছিল। তেহরান বরাবরই বলে আসছে, তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি সম্পূর্ণ বেসামরিক উদ্দেশ্যে। সম্প্রতি ইরানের রাষ্ট্রপতি মাসুদ পেজেশকিয়ান ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি বলেছেন, তারা পারমাণবিক কর্মসূচি পুনরায় সচল করবেন। এর জবাবে ট্রাম্প প্রয়োজনে ইরানে আবার হামলার হুমকি দিয়েছেন।
ইরানের রাষ্ট্রীয় টিভি জানায়, মার্কিন ডেস্ট্রয়ার ‘ফিটজেরাল্ড’ উসকানিমূলকভাবে ইরানের নজরদারির অধীনে থাকা জলসীমার কাছে যাওয়ার চেষ্টা করেছিল। একটি ইরানি নৌ-হেলিকপ্টার দ্রুত জাহাজটির কাছে গিয়ে এলাকা ছাড়ার জন্য কঠোর সতর্কতা জারি করে। মার্কিন ডেস্ট্রয়ারটি ইরানি হেলিকপ্টারকে হুমকি দিয়েছিল, কিন্তু অব্যাহত সতর্কতার পর এলাকা থেকে সরে যায়। ইরানি গণমাধ্যম জাহাজটির নাম ‘ডিডিজি ফিটজেরাল্ড’ হিসেবে উল্লেখ করেছে এবং জানিয়েছে, ইরানি সেনাবাহিনী জাহাজটিকে দক্ষিণ দিকে পথ পরিবর্তনের নির্দেশ দিয়েছে। তবে, জাহাজটি কোন দেশের জলসীমায় প্রবেশ করেছে তা রয়টার্স স্পষ্ট করতে পারেনি।

Share This Post

শেয়ার করুন

Author:

Note For Readers: The CEO handles all legal and staff issues. Claiming human help before the first hearing isn't part of our rules. Our system uses humans and AI, including freelance journalists, editors, and reporters. The CEO can confirm if your issue involves a person or AI.