Thursday, July 3, 2025

দুই হাতে ধারালো অস্ত্র নিয়ে শোডাউন দেওয়া ‘টুন্ডা বাবু’ গ্রেপ্তার: র‍্যাব

রাজধানীর মোহাম্মদপুরের আলোচিত সন্ত্রাসী গোষ্ঠী ‘কবজিকাটা গ্রুপ’-এর প্রধান সহযোগী ও কিশোর গ্যাং নেতা মো. বাবু খান ওরফে টুন্ডা বাবুকে (৩১) গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। গত বুধবার গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। বৃহস্পতিবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‍্যাবের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।

র‍্যাব জানায়, টুন্ডা বাবু মোহাম্মদপুর এলাকায় কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যদের নিয়ে ছিনতাই, চাঁদাবাজি, ভূমি দখলসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িত। র‍্যাব-২-এর পরিচালক মো. খালিদুল হক হাওলাদার বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বাবু জানিয়েছেন, তিনি মোহাম্মদপুরের শীর্ষ সন্ত্রাসী আনোয়ার ওরফে কবজিকাটা আনোয়ারের প্রধান সহযোগী। কবজিকাটা গ্রুপের নির্দেশে তিনি চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসা, ভূমি দখল, চুরি-ছিনতাই, ডাকাতি ও হত্যার মতো সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করতেন। তারা দিনের বেলায় ছোট ছোট দলে বিভক্ত হয়ে পথচারীদের জিম্মি করে টাকা, মুঠোফোন, ল্যাপটপ, ভ্যানিটিব্যাগ ছিনতাই করতেন এবং রাতে বাসাবাড়ি ও ফ্ল্যাটে ঢুকে অস্ত্রের মুখে ডাকাতি করতেন। এছাড়া, তারা মাদক কারবারেও জড়িত ছিলেন।

র‍্যাব জানায়, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি শ্যামলী হাউজিংয়ের ২ নম্বর প্রজেক্টে টুন্ডা বাবুকে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যদের সঙ্গে দুই হাতে ধারালো অস্ত্র নিয়ে শোডাউন দিতে দেখা যায়। এই ঘটনার একটি সিসিটিভি ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। ২৪ ফেব্রুয়ারি তাকে গ্রেপ্তার করা হলেও ৫ মে জামিনে মুক্ত হন। এরপর তিনি আবারও সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়ে যান। টুন্ডা বাবুর বিরুদ্ধে হত্যা, হত্যাচেষ্টা, ডাকাতি, ছিনতাই, চুরিসহ বিভিন্ন অভিযোগে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় ১০টির বেশি মামলা রয়েছে। সম্প্রতি র‍্যাব-২-এর অভিযানে কবজিকাটা গ্রুপের প্রধান মো. আনোয়ার ওরফে শুটার আনোয়ার, চুয়া সেলিম গ্রুপের প্রধান মো. সেলিম আশরাফী ওরফে চুয়া সেলিম এবং মাদক কারবারি ভূঁইয়া সোহেল ওরফে বুনিয়া সোহেলকে তাদের সহযোগীসহ গ্রেপ্তার করা হয়।


Share This Post

শেয়ার করুন

Author:

Note For Readers: The CEO handles all legal and staff issues. Claiming human help before the first hearing isn't part of our rules. Our system uses humans and AI, including freelance journalists, editors, and reporters. The CEO can confirm if your issue involves a person or AI.