রাষ্ট্রদূতের সাথে উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি চিফ অব মিশন মিস জিন-হি বেক। জামায়াতের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন নায়েবে আমির ও সাবেক এমপি ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের, সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও কেন্দ্রীয় মিডিয়া ও প্রচার বিভাগের প্রধান অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও কেন্দ্রীয় মিডিয়া ও প্রচার বিভাগের সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ এবং আমিরের পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মাহমুদুল হাসান।
সাক্ষাৎ শেষে সংক্ষিপ্ত প্রেস ব্রিফিংয়ে অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, “আমিরে জামায়াতের সাথে কোরিয়ান রাষ্ট্রদূতের সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে দীর্ঘসময় ধরে দ্বিপক্ষীয়, অর্থনৈতিক ও দেশের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে চমৎকার আলোচনা হয়েছে।” তিনি জানান, রাষ্ট্রদূত রফতানির শুল্ক টেরিফ সমস্যা সমাধানে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন, এবং জামায়াতও এ ব্যাপারে আশাবাদী।
রাষ্ট্রদূত নির্বাচন, রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও সংস্কার সম্পর্কে জানতে চাইলে ডা. শফিকুর রহমান তাকে এসব বিষয়ে অবহিত করেন। অধ্যাপক পরওয়ার বলেন, জামায়াত সরকারের সাথে ঐকমত্যে পৌঁছানোর জন্য সহযোগিতা করে যাচ্ছে এবং আশা করছে যে, ঐকমত্যের ভিত্তিতে একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি হবে।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, বাংলাদেশ একটি সম্ভাবনাময় অর্থনীতির দেশ। পোশাক শিল্পে বিশ্বের অন্যতম রফতানিকারক হিসেবে এর সম্ভাবনা রয়েছে। তিনি বলেন, “আমাদের দেশ ছোট হলেও জনসংখ্যা বিপুল। প্রাকৃতিক সম্পদ, সবুজ বনভূমি, নদীনালা ও সাগরের এই দেশে অনেক সম্ভাবনা রয়েছে। সৎ নেতৃত্ব ও সংস্কারের মাধ্যমে আমরা একটি দুর্নীতিমুক্ত ও টেকসই অর্থনীতির দেশ গড়তে পারব।”
নির্বাচনের সময়সীমা সম্পর্কে রাষ্ট্রদূতের প্রশ্নে ডা. শফিকুর রহমান জানান, জামায়াত রমযানের আগে নির্বাচনের প্রস্তাব দিয়েছিল এবং পিআর পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তিনি বলেন, বেশিরভাগ রাজনৈতিক দল পিআর পদ্ধতির পক্ষে। এটি কালো টাকা, পেশীশক্তি ও মনোনয়ন বাণিজ্য থেকে মুক্তি দেবে এবং একটি মানসম্পন্ন সংসদ গঠনে সহায়ক হবে।
উভয় পক্ষ বাংলাদেশ ও কোরিয়ার মধ্যে দ্বিপক্ষীয় ব্যবসা-বাণিজ্য, অর্থনীতি ও বিনিয়োগ আরও জোরদার হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছে।