ভোলার তজুমদ্দিনে এক বিধবা নারীকে ধর্ষণের পর ভিডিও ধারণের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় দুই যুবকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর ভাই বাদী হয়ে মামলা করেছেন।
মামলার আসামিরা হলেন—তজুমদ্দিন উপজেলার চাঁচড়া ইউনিয়নের দক্ষিণ চাঁচড়া গ্রামের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা কালাম ফরাজির ছেলে গিয়াস এবং আলম চৌধুরীর ছেলে রাসেল।
রোববার (৬ জুলাই) বিকেলে তজুমদ্দিন থানায় মামলা করা হয়। এর আগে গত ১০ জুন ধর্ষণের ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী নারী অভিযোগ করেন, গত ১০ জুন তার বাবা-মা নানা বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলেন। ভুক্তভোগী তার ছেলেকে নিয়ে বাবার বাড়িতে ছিলেন। ওইদিন মধ্যরাতে ভুক্তভোগী টয়লেটে যাওয়ার উদ্দেশ্যে ঘর থেকে বের হলে আগে থেকেই ওত পেতে থাকা গিয়াস তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে এবং রাসেল ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে রাখে। পরবর্তীতে ওই নারী ঘর থেকে বের হলেই তাকে বাজে ইঙ্গিত করতেন তারা। একই সঙ্গে তাদের সঙ্গে স্বেচ্ছায় অনৈতিক কর্মকাণ্ডে না জড়ালে তার ভাইকে গাঁজা দিয়ে পুলিশে ধরিয়ে দেওয়ার হুমকি দেয় তারা। এতদিন ভুক্তভোগী প্রাণভয়ে ধর্ষণের বিষয়টি গোপন রাখলেও গতকাল বিষয়টি তিনি তার পরিবারকে জানান।
ভুক্তভোগীর ভাই ও মামলার বাদী ঢাকা পোস্টকে বলেন, গিয়াস ও রাসেল আমাদের প্রতিবেশী। গত ১০ জুন বাবা-মা বাড়িতে না থাকার সুযোগে গিয়াস আমার বোনকে ধর্ষণ করে এবং রাসেল সে ভিডিও ধারণ করে রাখে। আমার বোন বিষয়টি এতদিন গোপন রাখায় আমরা জানতে পারিনি। তাদের বিচারের দাবিতে তজুমদ্দিন থানায় মামলা দায়ের করেছি। এ ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে আসামিদের সর্বোচ্চ সাজা ফাঁসির দাবিও জানান তিনি।
তবে এ ঘটনায় অভিযুক্তদের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তাদের পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে তজুমদ্দিন থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মহব্বত খান বলেন, ভুক্তভোগীর ভাই বাদী হয়ে গিয়াস ও রাসেলের বিরুদ্ধে থানায় ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেছেন। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।