কক্সবাজারের রামু উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সানাউল্লাহ সেলিম ইয়াবা লুটের অভিযোগে উত্থাপিত বিতর্কের জেরে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেছেন। বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) তিনি নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে একটি স্ট্যাটাসের মাধ্যমে এই ঘোষণা দেন।
সেলিম তার ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, “বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, রামু উপজেলা শাখার আহ্বায়ক পদ থেকে আমি স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করছি। সম্প্রতি ষড়যন্ত্র ও রাজনৈতিক রোষানলের শিকার হয়ে আমার সামাজিক ও রাজনৈতিক জীবনের মান ক্ষুণ্ন হচ্ছে, যা আমাকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে। তাই আমি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সুখে থাক প্রাণের সংগঠন ছাত্রদল, ভালো থাকুক সুবিধাবাদীরা।” এর আগে, ৩০ হাজার ইয়াবা লুটের ঘটনাকে কেন্দ্র করে সানাউল্লাহ সেলিমের বিরুদ্ধে স্থানীয় এক সাংবাদিকের সঙ্গে অশালীন আচরণের অভিযোগ ওঠে। এই ঘটনায় একটি অডিও রেকর্ড স্থানীয় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা তাদের ফেসবুক প্রোফাইলে শেয়ার করেন, যা জেলায় ব্যাপক বিতর্কের জন্ম দেয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে ২৮ জুন উপজেলা বিএনপি একটি তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে, যার প্রধান করা হয় সাবেক উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি গোলাম কবির সওদাগরকে। কমিটিকে তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হলেও, পাঁচ দিন পর সানাউল্লাহ স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেন। জেলা ছাত্রদলের নেতা মোহাম্মদুল হক জনি বলেন, “পদত্যাগ কোনো স্থায়ী সমাধান নয়। আজ তারা পদত্যাগ করছে; কিন্তু কিছুদিন পর আবার বিএনপি বা অঙ্গসংগঠনের বিভিন্ন পদে ফিরে আসবে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়কের পদ স্থগিত করা হলেও, তাদের দল থেকে আজীবন বহিষ্কার করা উচিত।” উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সদস্য সচিব জিল্লুর রহমান বলেন, “আওয়ামী দুঃশাসনের সময়ে ত্যাগী নেতা হিসেবে পরিচিত সানাউল্লাহ ৫ আগস্টের পর নিজ ইউনিয়নে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছেন বলে শুনেছি। তার অশোভন আচরণ ও ইয়াবা কেলেঙ্কারি জাতীয়তাবাদী পরিবারকে ব্যথিত করেছে। আমাদের নেতা সাবেক সংসদ সদস্য কাজল ভাই দলের নেতাকর্মীদের দুষ্কর্ম প্রতিরোধে সোচ্চার রয়েছেন।” তদন্ত কমিটির সদস্য ফয়সাল কাদের জানান, “সানাউল্লাহ সেলিম স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেছেন, এটি তার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। তবে আমরা নিরপেক্ষ তদন্ত করে ঊর্ধ্বতন নেতৃবৃন্দের কাছে প্রতিবেদন জমা দেব।”Thursday, July 3, 2025
Author: DhakaGate Desk
Note For Readers: The CEO handles all legal and staff issues. Claiming human help before the first hearing isn't part of our rules. Our system uses humans and AI, including freelance journalists, editors, and reporters. The CEO can confirm if your issue involves a person or AI.
এ সম্পর্কিত আরও খবর
- ব্লগার মন্তব্
- ফেইসবুক মন্তব্য