সাত বিয়ে করা কুষ্টিয়ার রবিজুল ইসলাম মানব পাচার মামলায় গ্রেপ্তার

কুষ্টিয়ার ৪০ বছর বয়সী রবিজুল ইসলাম, যিনি সাতটি বিয়ে করে দেশজুড়ে আলোচিত হয়েছিলেন, তাঁকে মানব পাচারের অভিযোগে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ রোববার, ২০ জুলাই ২০২৫, সকালে কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানা–পুলিশ।

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহেদী হাসান সন্ধ্যায় বলেন, রবিজুলের বিরুদ্ধে মানব পাচারের অভিযোগে অন্তত ছয়টি মামলা রয়েছে। তাঁকে থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। আগামীকাল সোমবার তাঁকে আদালতে হাজির করা হবে। দুই বছর আগে সাতটি বিয়ে নিয়ে আলোচনায় আসেন রবিজুল ইসলাম। তাঁর বাড়ি কুষ্টিয়া সদর উপজেলার পাটিকাবাড়ি গ্রামে। তিনি এক যুগেরও বেশি সময় লিবিয়ায় ছিলেন। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, লিবিয়ায় থাকাকালীন রবিজুল স্থানীয় তরুণ-যুবকদের সেখানে নিয়ে যাওয়ার মাধ্যম হিসেবে কাজ করতেন। দেশে ফিরেও তিনি এই কাজ চালিয়ে যান। তাঁর বিরুদ্ধে টাকা লেনদেন ও মানব পাচারের একাধিক অভিযোগ ওঠে, যার ফলে থানায় ছয়টি মামলা দায়ের হয়। এরপর পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু করে। পুলিশ জানায়, রবিজুল কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, ঝিনাইদহসহ পার্শ্ববর্তী জেলার গ্রামের যুবক–তরুণদের চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে লিবিয়ায় পাঠাতেন। সেখানে পৌঁছানোর পর তাঁর চক্রের সদস্যরা কষ্টে থাকা ভুক্তভোগীদের ভিডিও ধারণ করে তাদের পরিবারের কাছে পাঠাত এবং মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করত। এসব অভিযোগের ভিত্তিতে প্রাথমিক তদন্তে সত্যতা পাওয়ার পর রবিজুলকে গ্রেপ্তার করা হয়। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানার ওসি জানান, রবিজুলকে রিমান্ডে নিতে আদালতে আবেদন করা হবে। চক্রের অন্য সদস্যদের শনাক্ত করতে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। পুরো চক্রকে ধরতে পুলিশ কাজ করছে।