বাংলাদেশের জলসীমায় আটক ৩৪ জন ভারতীয় মৎস্যজীবীর সঙ্গে দেখা করতে কনস্যুলার অ্যাক্সেসের আবেদন করেছে ভারত। ঢাকার ভারতীয় হাইকমিশন ইতিমধ্যে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে কূটনৈতিকভাবে যোগাযোগ শুরু করেছে।
ভারতীয় সরকারি সূত্র জানায়, গত ১৪-১৫ জুলাই রাতে মংলা বন্দরের কাছে আন্তর্জাতিক সমুদ্রসীমা অতিক্রম করে মাছ ধরার অভিযোগে *এফবি ঝড়* এবং *এফবি মা মঙ্গল চন্ডি* নামের দুটি ভারতীয় ট্রলার ও ৩৪ জন ক্রুকে আটক করে বাংলাদেশ নৌবাহিনী। পরে তাঁদের বাংলাদেশ পুলিশের হাতে হস্তান্তর করা হয় এবং আইনি প্রক্রিয়া অনুযায়ী কারাগারে পাঠানো হয়।
এক ভারতীয় সরকারি কর্মকর্তা বলেন, “আটকের খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশন তাৎক্ষণিকভাবে কনস্যুলার অ্যাক্সেসের জন্য আবেদন করেছে। আমাদের লক্ষ্য মৎস্যজীবীদের ট্রলারসহ নিরাপদে ও দ্রুত ফিরিয়ে আনা।”
দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের প্রেক্ষাপট তুলে ধরে তিনি বলেন, গত বছর ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ভারত ও বাংলাদেশের সম্পর্কে কিছুটা টানাপোড়েন দেখা গেছে। তবুও চলতি বছরের ৫ জানুয়ারি বাংলাদেশ ৯৫ জন ভারতীয় মৎস্যজীবীকে ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনীর হাতে হস্তান্তর করে, এবং বিনিময়ে ভারত ৯০ জন বাংলাদেশি মৎস্যজীবীকে ফিরিয়ে দেয়।
প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী, দুই দেশের মধ্যে একটি সমঝোতা রয়েছে যে, অনিচ্ছাকৃতভাবে জলসীমা অতিক্রমকারী মৎস্যজীবীদের প্রতি মানবিক আচরণ করা হবে, কারণ তাঁদের কাছে সমুদ্রের অদৃশ্য সীমারেখা চিহ্নিত করার প্রযুক্তি থাকে না। তবে ভারতের অভিযোগ, এবার আটক মৎস্যজীবীদের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত দ্রুত আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। কর্মকর্তার ভাষ্য, “এমন প্রতিক্রিয়া আগে দেখা যায়নি। আমরা বিষয়টিকে গুরুত্বের সঙ্গে দেখছি।”
প্রসঙ্গত, কনস্যুলার অ্যাক্সেস বলতে বোঝায়, কোনো ব্যক্তি বিদেশে গ্রেপ্তার, আটক বা হেফাজতে থাকলে তাঁর দেশের কনস্যুলেট বা দূতাবাসের কর্মকর্তারা তাঁর সঙ্গে দেখা করতে, কথা বলতে এবং আইনি ও মানবিক সহায়তা দিতে পারেন।
Note For Readers:
The CEO handles all legal and staff issues. Claiming human help before the first hearing isn't part of our rules.
Our system uses humans and AI, including freelance journalists, editors, and reporters.
The CEO can confirm if your issue involves a person or AI.