Sunday, July 20, 2025

সারজিসের বান্দরবান নিয়ে বক্তব্যে দুঃখ প্রকাশ

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম বান্দরবান নিয়ে দেওয়া বিতর্কিত বক্তব্যের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন। রোববার (২০ জুলাই) বিকাল ৩টা ৩৭ মিনিটে ফেসবুক পোস্টে তিনি এই দুঃখ প্রকাশ করেন।

ফেসবুক পোস্টে সারজিস আলম বলেন, ‘সংগ্রাম, সৌন্দর্য ও সৌহার্দ্যের রাঙামাটি থেকে...আমরা লড়াই করব সব জাতিগোষ্ঠীর অধিকার ও মানবিক মর্যাদা নিয়ে। জুলাই পদযাত্রা থেকে এটাই আমাদের অঙ্গীকার।’ তিনি আরও বলেন, ‘বান্দরবান নিয়ে কিছুদিন আগে একটি বক্তব্যে যে অনাকাঙ্ক্ষিত শব্দচয়ন হয়েছে, সেটার জন্য আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত।’

সারজিস আলম বান্দরবানকে ‘শাস্তিস্বরূপ চাঁদাবাজদের পাঠানোর জায়গা’ বলে মন্তব্য করায় পার্বত্য জেলা বান্দরবানে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। এর প্রতিবাদে স্থানীয় ছাত্র সংগঠন সারজিস ক্ষমা না চাইলে বান্দরবানে এনসিপিকে অবাঞ্ছিত ঘোষণার হুঁশিয়ারি দেয়। তারা ক্ষমা চাওয়ার দাবিতে একটি সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বান্দরবান প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে ‘বান্দরবান ছাত্রসমাজ’ ব্যানারে আয়োজিত এই সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা সারজিস আলমের বক্তব্যকে পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রতি ‘চরম অবমাননাকর ও বৈষম্যমূলক’ বলে আখ্যায়িত করেন। পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদের বান্দরবান জেলা শাখার সভাপতি আসিফ ইকবাল বলেন, “গত ৩ জুলাই পঞ্চগড়ে ‘জুলাই পদযাত্রা’ চলাকালে সারজিস আলম বলেন, বান্দরবান হচ্ছে ‘শাস্তির জায়গা’, যেখানে চাঁদাবাজ ও দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের পাঠানো হয়। একজন জাতীয় পর্যায়ের নেতার মুখে এমন মন্তব্য শুধু দুঃখজনকই নয়, বরং চরম নিন্দনীয় ও ঘৃণ্য। এটি পার্বত্য চট্টগ্রামের মানুষের সম্মানকে অপমান করার নামান্তর।” তিনি আরও বলেন, “এ ধরনের কটূক্তি গোটা পার্বত্য অঞ্চলের মানুষের আত্মমর্যাদাকে আঘাত করেছে। অবিলম্বে সারজিস আলমকে বক্তব্য প্রত্যাহার করে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে। অন্যথায় এনসিপিকে বান্দরবানে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হবে।” আসিফ ইকবালের সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদের বান্দরবান জেলার সহসভাপতি মাহির ইমতেছার, সাধারণ সম্পাদক হাবিব আল মাহমুদ, খালিদ বিন নজরুল, আমিনুল ইসলাম এবং ছাত্রসমাজের অন্যান্য প্রতিনিধিরা।


Share This Post

শেয়ার করুন

Author:

Note For Readers: The CEO handles all legal and staff issues. Claiming human help before the first hearing isn't part of our rules. Our system uses humans and AI, including freelance journalists, editors, and reporters. The CEO can confirm if your issue involves a person or AI.