হেডিংলিতে হারের পর এজবাস্টন টেস্টে ঘুরে দাঁড়ানোর লক্ষ্যে নেমেছে ভারত। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে চলমান টেস্ট সিরিজে ভারতের হাতেই রয়েছে নিয়ন্ত্রণ। অধিনায়ক শুভমান গিলের ২৬৯ রানের দুর্দান্ত ইনিংসের সুবাদে প্রথম ইনিংসে ৫৮৭ রানের বড় সংগ্রহ পেয়েছে সফরকারীরা। তবে, ৮৯ রান করা রবীন্দ্র জাদেজার বিতর্কিত কাণ্ড নিয়ে উঠেছে ঝড়। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ইংলিশ পেসার ক্রিস ওকস।
বিতর্কের মূল কারণ ‘ডেঞ্জার জোন’ অঞ্চল দিয়ে ব্যাটারদের দৌড়ানোর বিধি-নিষেধ। জাদেজা এই নিয়ম ভঙ্গ করায় আগেও শাস্তি পেয়েছে ভারত। এবারও তিনি একই অভিযোগে জড়িয়েছেন। এজন্য অন-ফিল্ড আম্পায়ার শরফুদ্দৌলা ইবনে শহীদ সৈকত তাকে সতর্ক করেছেন। আইসিসির নীতিমালা অনুযায়ী, একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হলে ‘ইচ্ছাকৃত বা অপরিহার্য ক্ষতি’ হিসেবে বিবেচিত হয়ে ভারতকে ৫ রানের জরিমানা দিতে হতো। এজবাস্টন টেস্টের দ্বিতীয় দিনের দ্বিতীয় ওভারে ঘটে এই ঘটনা। ওকসের বলে দ্রুত রান নেওয়ার চেষ্টায় জাদেজা স্টাম্প বরাবর পিচের মাঝ দিয়ে দৌড়ান। যদিও রানআউটের ঝুঁকি দেখে তিনি রানটি সম্পন্ন করেননি। পরবর্তী বলের আগে বাংলাদেশি আম্পায়ার সৈকত তাকে সতর্ক করেন। উইকেটের মাঝের অংশটি ‘ডেঞ্জার জোন’ হিসেবে চিহ্নিত, এবং সতর্কতার পরও সেখান দিয়ে দৌড়ালে দলকে জরিমানা দিতে হয়। একই ওভারের শেষ দিকে ওকস আবারও জাদেজার বিরুদ্ধে একই অভিযোগ তোলেন। এবার তার সঙ্গে যোগ দেন ইংলিশ অধিনায়ক বেন স্টোকস। জাদেজার উদ্দেশে স্টোকস বলেন, “দেখো, তুমি কী করেছ।” জবাবে জাদেজা বলেন, “আমি তো এদিক দিয়ে (সেন্টারের বাইরে) এসেছি। আমি বল করছি না, তাহলে ওদিকে যাব কেন? আমার পুরো মনোযোগ ব্যাটিংয়ে।” দিনের খেলা শেষে সংবাদ সম্মেলনে এই প্রসঙ্গ উঠলে জাদেজা বলেন, “তারা ভেবেছিল আমি নিজের কাজ কঠিন করছি। পেসাররা এটা করতে পারে, আমার তেমনটা করার দরকার নেই। ওকস বারবার আম্পায়ারকে বলছিল আমি উইকেটের ওপর দৌড়াচ্ছি। আমার তেমন কোনো ইচ্ছা ছিল না। হয়তো একবার বা দু’বার ভুলে করে ফেলেছি, কিন্তু ইচ্ছাকৃত নয়।” এর আগে ২০১৬-১৭ সালে ইন্দোরে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচে জাদেজার ‘ডেঞ্জার জোন’ দিয়ে দৌড়ানোর জন্য ভারতকে ৫ রানের জরিমানা দেওয়া হয়। তাকে ম্যাচ ফি’র ৫০ শতাংশ জরিমানা ও তিনটি ডিমেরিট পয়েন্টও দেওয়া হয়। এছাড়া ২০২৪ আইপিএলেও স্টাম্পের লাইনে দৌড়ানোর জন্য রানআউট মিস হওয়ার অভিযোগ উঠেছিল জাদেজার বিরুদ্ধে। আম্পায়ার চাইলে তাকে ‘অবস্ট্রাক্টিং দ্য ফিল্ড’ আউট ঘোষণা করতে পারতেন।Friday, July 4, 2025
Author: DhakaGate Desk
Note For Readers: The CEO handles all legal and staff issues. Claiming human help before the first hearing isn't part of our rules. Our system uses humans and AI, including freelance journalists, editors, and reporters. The CEO can confirm if your issue involves a person or AI.
এ সম্পর্কিত আরও খবর
- ব্লগার মন্তব্
- ফেইসবুক মন্তব্য