বুধবার (০২ জুলাই, ২০২৫) বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আদালত অবমাননার মামলায় ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন।
এর আগে, এই মামলার পূর্ণাঙ্গ শুনানির জন্য ট্রাইব্যুনাল এ ওয়াই মশিউজ্জামানকে *অ্যামিকাস কিউরি* (আদালতের বন্ধু) হিসেবে নিয়োগ করে। একই সঙ্গে পরবর্তী শুনানির জন্য ২ জুলাই দিন ধার্য করা হয়।
আইন অনুযায়ী, এ ধরনের মামলায় কোনো পক্ষের জন্য সরকারি খরচে আইনজীবী নিয়োগের বিধান না থাকলেও ন্যায়বিচারের স্বার্থে শেখ হাসিনার পক্ষে আদালত একজন আইনজীবী নিয়োগ করেন।
*অ্যামিকাস কিউরি* নিয়োগের পর প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামিম সাংবাদিকদের জানান, আদালত অবমাননার অভিযোগের শুনানির জন্য ট্রাইব্যুনাল সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ছাত্রলীগ নেতা শাকিল আলম বুলবুলের বিরুদ্ধে *অ্যামিকাস কিউরি* নিয়োগ করেছে।
জুলাই গণঅভ্যুত্থান-সংক্রান্ত মামলার প্রেক্ষিতে দেওয়া বক্তব্যের কারণে গত ৩০ এপ্রিল চিফ প্রসিকিউটর শেখ হাসিনা ও শাকিল আলম বুলবুলের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ দাখিল করেন। সেদিনই ট্রাইব্যুনাল অভিযোগ গ্রহণ করে তাদের ১৫ মে’র মধ্যে জবাব দিতে নির্দেশ দেয়। কিন্তু নির্ধারিত সময়েও কোনো জবাব না আসায়, ২৫ মে অভিযুক্তদের ট্রাইব্যুনালে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।
এর আগে একটি অডিওতে শেখ হাসিনাকে বলতে শোনা যায়, “আমার বিরুদ্ধে ২২৭টি মামলা হয়েছে, তাই ২২৭ জনকে হত্যার লাইসেন্স পেয়ে গেছি।” অডিওটি ভাইরাল হওয়ার পর পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) ফরেনসিক বিশ্লেষণে সেটি সত্য বলে নিশ্চিত করে। এরপরই আদালত অবমাননার অভিযোগ জমা পড়ে ট্রাইব্যুনালে।
প্রসিকিউশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হলেও শেখ হাসিনা ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত হননি বা কোনো আইনজীবীর মাধ্যমে ব্যাখ্যাও দেননি। ফলে ট্রাইব্যুনাল এখন আইন অনুযায়ী শাস্তিমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারে।
Note For Readers:
The CEO handles all legal and staff issues. Claiming human help before the first hearing isn't part of our rules.
Our system uses humans and AI, including freelance journalists, editors, and reporters.
The CEO can confirm if your issue involves a person or AI.