হবিগঞ্জে আনমনু ও তিমিরপুর গ্রামের সংঘর্ষে ৫০ আহত, ১৪৪ ধারা জারি
হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলায় পূর্ব বিরোধের জেরে আনমনু ও তিমিরপুর গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছেন। সোমবার (৭ জুলাই) দুপুরে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের জেরে শহরের বিভিন্ন এলাকায় দোকানপাটে ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনাও ঘটেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে প্রশাসন সংঘর্ষকবলিত এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে।প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, গত শুক্রবার তিমিরপুর গ্রামের খসরু মিয়া ও ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের আশাহীদ আলী আশার মধ্যে কথাকাটাকাটি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আনমনু গ্রামের কয়েকজন আশার পক্ষ নেন। এর জের ধরে সোমবার দুপুরে দুই গ্রামের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। প্রায় ঘণ্টাব্যাপী এই সংঘর্ষে উভয় পক্ষ ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ায় জড়ায়। এ সময় শহরের ইউনাইটেড হাসপাতাল, হাসেমবাগ হোটেল, মাছ বাজারসহ অন্তত ১০-১২টি দোকানপাটে ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে আহত অন্তত ৫০ জনকে নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে আহতদের নাম-পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। ঘটনার পরপরই পুলিশ, র্যাব ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। শান্তি বজায় রাখতে প্রশাসন ১৪৪ ধারা জারি করেছে। নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ কামরুজ্জামান গণমাধ্যমকে বলেন, “তিন দিন ধরে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা চলছিল, যা সোমবার সংঘর্ষে রূপ নেয়। এখনো কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রুহুল আমিন ঢাকা পোস্টকে বলেন, “সংঘর্ষের পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মাঠে নামে। পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে। শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। কেউ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”