বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদার করতে ব্রাজিল একটি বাণিজ্য চুক্তির প্রতি আগ্রহ প্রকাশ করেছে। ব্রাজিলের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট গ্যাব্রিয়েল গালিপোলো এই ঘোষণা দিয়েছেন।
ব্রাজিলে নবনিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. তৌহিদুল ইসলামের সঙ্গে প্রথম আনুষ্ঠানিক বৈঠকের পর এই আগ্রহের কথা জানানো হয়। শনিবার (২৬ জুলাই, ২০২৫) ব্রাজিলে বাংলাদেশ দূতাবাস এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ ও ব্রাজিলের মধ্যে বর্তমানে বার্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ চার বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করেছে। তবে, সাম্প্রতিক বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটে, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের উভয় দেশের ওপর উচ্চ শুল্ক আরোপের পরিপ্রেক্ষিতে, একটি দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সমঝোতার প্রয়োজনীয়তা রাষ্ট্রদূত বিস্তারিতভাবে তুলে ধরেন।
বৈঠকে রাষ্ট্রদূত মো. তৌহিদুল ইসলাম একটি সম্ভাব্য বাণিজ্য চুক্তির রূপরেখা প্রণয়নের জন্য একটি ধারণাপত্র উপস্থাপন করেন। এতে পারস্পরিক শুল্ক হ্রাস, এলসি খোলার সমস্যা সমাধান এবং দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত ছিল।
প্রেসিডেন্ট গ্যাব্রিয়েল গালিপোলো শিগগিরই ব্রাজিলের পক্ষ থেকে বাংলাদেশকে একটি বাণিজ্য চুক্তির সমঝোতা স্মারকের খসড়া পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এই খসড়ায় ধারণাপত্রে উল্লিখিত বিষয়গুলোর পাশাপাশি অন্যান্য প্রাসঙ্গিক বিষয়ও অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
বাংলাদেশ দূতাবাস জানায়, এটি বাংলাদেশের জন্য একটি ঐতিহাসিক সুযোগ। বিশ্বব্যাপী বাণিজ্য সংকোচনের প্রেক্ষাপটে এবং এলডিসি পরবর্তী বাংলাদেশের বাণিজ্যিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দক্ষিণ আমেরিকার বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ ব্রাজিলের এই উদ্যোগ দেশের অর্থনীতির জন্য একটি অনন্য সম্ভাবনা সৃষ্টি করেছে।
সবকিছু ঠিক থাকলে, এ বছরের শেষের দিকে ঢাকায় অনুষ্ঠিতব্য ব্রাজিল-বাংলাদেশ বার্ষিক দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
Note For Readers:
The CEO handles all legal and staff issues. Claiming human help before the first hearing isn't part of our rules.
Our system uses humans and AI, including freelance journalists, editors, and reporters.
The CEO can confirm if your issue involves a person or AI.