পাল্লেকেলের ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে শ্রীলঙ্কার ২৮৫ রানের জবাবে বাংলাদেশ ৩৯.৪ ওভারে মাত্র ১৮৬ রানে অলআউট হয়ে ৯৯ রানের বড় ব্যবধানে হেরেছে। এই পরাজয়ের ফলে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ ২-১ ব্যবধানে জিতে নিয়েছে শ্রীলঙ্কা। মঙ্গলবার (৮ জুলাই ২০২৫) ক্যান্ডিতে অনুষ্ঠিত সিরিজের শেষ ম্যাচে বাংলাদেশের ব্যাটিং ব্যর্থতা এই হারের মূল কারণ।
শ্রীলঙ্কার ইনিংসে কুশল মেন্ডিসের ১১৪ বলে ১২৪ রানের দুর্দান্ত সেঞ্চুরি এবং অধিনায়ক চারিত আসালাঙ্কার ৬৮ বলে ৫৮ রানের ইনিংস তাদের ৫০ ওভারে ২৮৫/৭ রানে নিয়ে যায়। বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে মেহেদী হাসান মিরাজ ২/৪৮ এবং তাসকিন আহমেদ ২/৫১ নিয়ে কিছুটা প্রভাব ফেললেও, বোলিং ইউনিট সামগ্রিকভাবে শ্রীলঙ্কার ব্যাটসম্যানদের আটকাতে ব্যর্থ হয়। ফিল্ডিংয়ের ঢিলেঢালাভাব এবং বোলারদের উচ্চ ইকোনমি রেট (মিরাজ ছাড়া কারও ইকোনমি ৫-এর নিচে নয়) শ্রীলঙ্কাকে বড় স্কোর গড়তে সহায়তা করে।
বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ে তাওহিদ হৃদয় ৭৮ বলে ৫১ রানের একমাত্র ফিফটি করেন। তবে, এই ধীরগতির ইনিংস ২৮৫ রান তাড়ায় তেমন প্রভাব ফেলতে পারেনি। মিরাজ (২৮), পারভেজ হোসেন (২৮) এবং জাকের আলী (২৭) ছাড়া কোনো ব্যাটসম্যান উল্লেখযোগ্য রান করতে পারেননি। কোনো বড় জুটি গড়ে না ওঠায় বাংলাদেশ প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়তে ব্যর্থ হয়। শ্রীলঙ্কার পেসার আসিতা ফার্নান্ডো এবং দুশমন্থ চামিরা ৩টি করে উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের ব্যাটিং ধসিয়ে দেন।
শ্রীলঙ্কার এক কর্মকর্তা ম্যাচ শেষে হতাশা প্রকাশ করে বলেন, “বাংলাদেশ লড়াই-ই করতে পারল না। এ রকম ম্যাচে আনন্দ নেই।” সিরিজের ম্যান অব দ্য ম্যাচ এবং ম্যান অব দ্য সিরিজ নির্বাচিত হন কুশল মেন্ডিস। বাংলাদেশ আগামীকাল এই মাঠেই টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচ খেলবে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
শ্রীলঙ্কা: ৫০ ওভারে ২৮৫/৭ (কুশল ১২৪, আসালাঙ্কা ৫৮, নিশাঙ্কা ৩৫, হাসারাঙ্গা ১৮*; মিরাজ ২/৪৮, তাসকিন ২/৫১, শামীম ১/৩০, তানজিম ১/৪১, তানভীর ১/৬১)।
বাংলাদেশ: ৩৯.৪ ওভারে ১৮৬ (হৃদয় ৫১, মিরাজ ২৮, পারভেজ ২৮, জাকের ২৭; আসিতা ৩/৩১, চামিরা ৩/৫১, ভেল্লালাগে ২/৩৩, হাসারাঙ্গা ২/৩৫)।
ফল: শ্রীলঙ্কা ৯৯ রানে জয়ী।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ ও সিরিজ: কুশল মেন্ডিস।
সিরিজ: শ্রীলঙ্কা ২–১ ব্যবধানে জয়ী।