আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ০৯ জুন, ২০১৫ : যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার লস অ্যাঞ্জেলেসে অভিবাসনবিরোধী বিক্ষোভ ক্রমশ উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। এই বিক্ষোভের জেরে শহরটি রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বিক্ষোভকারীদের মাস্ক পরার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন এবং মাস্ক পরা অবস্থায় বিক্ষোভে অংশ নিলে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দিয়েছেন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ট্রাম্প তার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে লিখেছেন, “এখনই মাস্ক পরা লোকদের গ্রেপ্তার করুন।” তিনি এর আগে বলেছিলেন, “এখন থেকে বিক্ষোভে মাস্ক পরা অনুমোদিত হবে না।” তবে এই আদেশের আইনি বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিক্ষোভকারীরা মাস্ক পরছেন দুটি প্রধান কারণে—নিজেদের পরিচয় গোপন রাখতে এবং কাঁদানে গ্যাস ও বিস্ফোরণের ধোঁয়া থেকে নিজেদের রক্ষা করতে। কিন্তু ট্রাম্প মনে করেন, মাস্কের আড়ালে বিক্ষোভকারীরা সহিংসতা ছড়াচ্ছে।
এনডিটিভি জানিয়েছে, ট্রাম্পের অভিবাসন নীতির বিরুদ্ধে তৃতীয় দিনের বিক্ষোভ দমন করতে রোববার ক্যালিফোর্নিয়ায় ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েন করা হয়। তবে রাজ্যের ডেমোক্র্যাটিক গভর্নর গ্যাভিন নিউসম এই মোতায়েনকে অবৈধ বলে অভিহিত করেছেন।
লস অ্যাঞ্জেলেস পুলিশ জানিয়েছে, পুলিশের নির্দেশ অমান্য করায় ২৭ জন বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভান্স আরও সেনা মোতায়েনের ইঙ্গিত দিয়েছেন। তবে ট্রাম্প প্রশাসন এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি।
ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর থেকে অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছেন। গত কয়েক দিনে লস অ্যাঞ্জেলেসসহ ক্যালিফোর্নিয়ার বিভিন্ন এলাকায় অভিবাসন দপ্তরের অভিযানে ১১৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এই গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে লস অ্যাঞ্জেলেসে বিক্ষোভ শুরু হয়, যা ক্রমশ তীব্র রূপ নিচ্ছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে হোয়াইট হাউস ২,০০০ ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এ.আই/এম.আর