মধ্যপ্রাচ্যে উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যে ইরান সর্বাত্মক যুদ্ধের প্রস্তুতি হিসেবে বন্ধু রাষ্ট্রগুলোকে নিয়ে ‘ইসলামিক সেনাবাহিনী’ গঠনের আহ্বান জানিয়েছে। ইরানের প্রভাবশালী রাজনীতিক মহসেন রেজাই সৌদি আরব, তুরস্ক, পাকিস্তানসহ একাধিক মুসলিম দেশের সঙ্গে এই বাহিনী গঠনের প্রস্তাব দিয়েছেন। তিনি বলেন, “মুসলিম রাষ্ট্রগুলোর ঐক্যবদ্ধ হওয়া সময়ের দাবি। আমাদের অস্তিত্ব রক্ষায় সম্মিলিত শক্তি প্রয়োজন।”
সোমবার ইসরায়েলের তেল আবিব ও হাইফায় ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় পাঁচজন নিহত ও বহু মানুষ আহত হয়েছেন। হামলায় যুক্তরাষ্ট্রের তেল আবিব দূতাবাসও ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় তা সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এ ঘটনায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, “আমাদের স্বার্থে হামলা হলে সম্পূর্ণ শক্তি দিয়ে জবাব দেওয়া হবে।”
বিশ্লেষকদের মতে, ইরানের প্রস্তাবিত ‘ইসলামিক সেনাবাহিনী’ গঠিত হলে মধ্যপ্রাচ্যের কূটনৈতিক ভারসাম্যে বড় ধরনের পরিবর্তন আসতে পারে, যা বৈশ্বিক সংঘাতের দিকে ঠেলে দিতে পারে। বিশেষজ্ঞরা কূটনৈতিক উদ্যোগে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনার তাগিদ দিয়েছেন, অন্যথায় অঞ্চলটি ভয়াবহ যুদ্ধে জড়িয়ে পড়তে পারে।
এ.আই/এম.আর