ইসরায়েলের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, বিশেষ করে আয়রন ডোম এবং সম্প্রতি মোতায়েন করা আয়রন বিম, রকেট ও ড্রোন হামলা প্রতিরোধে অসাধারণ কার্যকারিতার জন্য বিশ্বব্যাপী আলোচিত। রাফাল অ্যাডভান্সড ডিফেন্স সিস্টেমের দাবি, আয়রন ডোমের সাফল্যের হার ৯০ শতাংশ, এবং এটি এ পর্যন্ত ৫,০০০-এর বেশি রকেট নিষ্ক্রিয় করেছে। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর গাজা থেকে হামাস, যাকে যুক্তরাজ্য, জার্মানি ও ইসরায়েলের মতো দেশগুলো সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠী হিসেবে ঘোষণা করেছে, ৩,০০০ রকেট নিক্ষেপ করেছিল, যা এই ব্যবস্থার গুরুত্ব তুলে ধরে।
ইসরায়েলের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা: আয়রন ডোম ও আয়রন বিমের কার্যকারিতা
তবে, আয়রন ডোমের খরচ নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে। ওয়াশিংটন-ভিত্তিক সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রতিটি ইন্টারসেপ্টার মিসাইলের দাম ৪০,০০০ থেকে ৫০,০০০ ডলার (প্রায় ৪৮ লাখ থেকে ৬১ লাখ টাকা)। এই খরচ কমাতে ইসরায়েল আয়রন বিম নামে একটি লেসার-ভিত্তিক ব্যবস্থা চালু করেছে, যা ড্রোন, ক্ষেপণাস্ত্র ও কামানের গোলা নিষ্ক্রিয় করতে সক্ষম।
২০১৪ সালে রাফাল এই আয়রন বিম সিস্টেম তৈরি করে। এর প্রধান সুবিধা হলো কম খরচে আক্রমণ প্রতিরোধ। প্রতিটি লেসার আক্রমণে খরচ মাত্র কয়েক ডলার থেকে ২,০০০ ডলার (প্রায় ২ লাখ ৪৩ হাজার টাকা)। ২০২৫ সালের অক্টোবরে এটি চালুর পরিকল্পনা থাকলেও, ইসরায়েলের সেনাবাহিনী গত মে মাসেই জানায় যে তারা আয়রন বিম মোতায়েন করেছে।
আয়রন বিম বিশেষ করে ড্রোন মোকাবিলায় অত্যন্ত কার্যকর, যা আধুনিক যুদ্ধে ক্রমবর্ধমান হুমকি। আয়রন ডোম যেখানে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষার মূল ভিত্তি, সেখানে আয়রন বিমের কম খরচ ও নির্ভুলতা নতুন হুমকি মোকাবিলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
এ.আই/এম.আর