Sunday, June 29, 2025

১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের ফলাফলে অসন্তোষ: এনটিআরসিএ কার্যালয়ে বিক্ষোভ, পুলিশের লাঠিচার্জ

১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের চূড়ান্ত ফল প্রকাশের পর থেকে দেশজুড়ে অসন্তোষ ও বৈষম্যের অভিযোগে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে পরিস্থিতি। রোববার (২৯ জুন) দুপুরে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) কার্যালয়ের সামনে ফল বাতিল ও নতুন ফল প্রকাশের দাবিতে শত শত চাকরিপ্রার্থী বিক্ষোভ করেন। একপর্যায়ে পুলিশ লাঠিচার্জ করে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বেলা ১২টার দিকে বিক্ষোভ শুরু হয়। আন্দোলনকারীরা ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের ফল বাতিল করে পুনঃযাচাই ও মৌখিক পরীক্ষায় অকৃতকার্যদের সনদ প্রদানের দাবি জানান। গত ৪ জুন প্রকাশিত ফলাফলে ৬০,৫২১ জন প্রার্থীকে উত্তীর্ণ ঘোষণা করা হয়। পরে ২৩ জুন সংশোধিত ফলে আরও ১১৩ জনকে উত্তীর্ণ দেখানো হয়। এনটিআরসিএ জানায়, ২০২৫ সালের ২৩ মার্চের পরীক্ষার ফল কারিগরি ত্রুটির কারণে প্রথমে অন্তর্ভুক্ত হয়নি, যা পরে সংশোধন করা হয়। তবে প্রার্থীরা এই ফলাফলে ব্যাপক অসংগতি ও বৈষম্যের অভিযোগ তুলেছেন। তারা বলছেন, মৌখিক পরীক্ষায় ভালো ফল করেও অনেকে অনুত্তীর্ণ হয়েছেন। বিশেষ করে বোর্ডভিত্তিক ফলে অসামঞ্জস্যতা লক্ষ্য করা গেছে—কিছু বোর্ডে ৩০ জনের মধ্যে মাত্র ১-৩ জন পাস করলেও, অন্য বোর্ডে ২৯ জন পর্যন্ত পাস করেছেন। এটি ফলের স্বচ্ছতা ও ন্যায্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। ভুক্তভোগী প্রার্থী ফাতিমা বেগম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “ভাইভায় সঠিক উত্তর দিয়েও আমাকে ফেল দেখানো হয়েছে। এটা অন্যায়।” একই অভিযোগ করেছেন চাঁদপুরের প্রিয়াঙ্কা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মাহমুদা বেগম। তারা ফল পুনর্বিবেচনার মাধ্যমে মেধাবীদের স্বীকৃতি দেওয়ার দাবি জানান। এর আগে একটি প্রতিনিধিদল শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা কার্যালয়ে বৈঠক করে। এনটিআরসিএর প্রধান উপদেষ্টার সহকারী সচিব তাদের দাবি শোনেন এবং সমন্বয়ের আশ্বাস দেন। তবে আন্দোলনকারীরা এতে সন্তুষ্ট নন এবং ফল পুনর্বিবেচনা না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। ১৮তম নিবন্ধনে ১৯ লাখ প্রার্থী আবেদন করেছিলেন। লিখিত পরীক্ষায় ৮৩,৮৬৫ জন এবং মৌখিক পরীক্ষায় ৮১,২০৯ জন অংশ নেন। চূড়ান্তভাবে ৬০,৬৩৪ জন উত্তীর্ণ হন। বর্তমানে শূন্যপদ যাচাই-বাছাই চলছে, এবং সফল প্রার্থীদের নিয়োগের সুপারিশ করা হবে।

Share This Post

শেয়ার করুন

Author:

Note For Readers: The CEO handles all legal and staff issues. Claiming human help before the first hearing isn't part of our rules. Our system uses humans and AI, including freelance journalists, editors, and reporters. The CEO can confirm if your issue involves a person or AI.