ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাসহ বিভিন্ন ঘাঁটিতে ইসরায়েলের প্রাণঘাতী হামলার পর ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে। আলজাজিরা ও রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, মার্কিন ও রুশ নেতৃত্ব ইরানের হুমকির বিরুদ্ধে ইসরায়েলের আত্মরক্ষার অধিকারকে স্বীকৃতি দিয়েছে।
শুক্রবার (১৩ জুন ২০২৫) ভোররাতে তেহরান ও নাতাঞ্জে ইসরায়েলের হামলার পর ইরান কঠোর প্রতিশোধের হুমকি দিয়েছে। ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর মুখপাত্র আবুল ফজল শেখারচি বলেছেন, এই হামলার জবাবে ইরান কঠোর পদক্ষেপ নেবে এবং ইসরায়েলকে এর মূল্য দিতে হবে। ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন জানিয়েছে, তেহরানে ইসলামিক বিপ্লব গার্ডের সদর দপ্তরে হামলায় বিপ্লবী গার্ডের প্রধান মেজর জেনারেল হোসেইন সালামি ও পারমাণবিক শক্তি সংস্থার প্রধান ফারেদুন আব্বাসি নিহত হয়েছেন।
নেতানিয়াহু জানিয়েছেন, নাতাঞ্জে ইরানের পারমাণবিক সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্রে হামলা চালানো হয়েছে, যেখানে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির সঙ্গে জড়িত বিজ্ঞানীদের লক্ষ্য করা হয়েছে। তিনি বলেন, হুমকির অবসান না হওয়া পর্যন্ত হামলা অব্যাহত থাকবে। আলজাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তেহরানের উত্তর-পূর্বে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে এবং রাজধানীর আশপাশে ৬-৯টি বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। হামলার কারণে ইমাম খোমেনি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও জানিয়েছেন, এই হামলায় ওয়াশিংটনের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। তিনি বলেন, মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন বাহিনীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই তাদের অগ্রাধিকার।
এ.আই/এম.আর