তেহরান, ১৩ জুন ২০২৫: ইসরায়েলের বিমান বাহিনীর হামলায় ইরানের সামরিক বাহিনীর এলিট শাখা ইসলামিক রেভোল্যুশনারী গার্ড কর্পসের (আইআরজিসি) বিমানবাহিনীর প্রধান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আমির আলী হাজিজাদেহসহ অন্তত ২০ জন জ্যেষ্ঠ কমান্ডার নিহত হয়েছেন। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানিয়েছে, শুক্রবার বিকেলে তেহরানে আইআরজিসির একটি ভূগর্ভস্থ কমান্ড সেন্টারে এই হামলা চালানো হয়।
আইডিএফ-এর বিবৃতি অনুযায়ী, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আমির আলী হাজিজাদেহসহ জ্যেষ্ঠ কমান্ডাররা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে পাল্টা হামলার কৌশল নির্ধারণে বৈঠকে বসেছিলেন। বৈঠক শুরুর কিছুক্ষণ পরই ইসরায়েলের যুদ্ধ বিমান বাঙ্কার বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে, যাতে হাজিজাদেহসহ ২০ জন কমান্ডার ঘটনাস্থলেই নিহত হন। নিহতদের মধ্যে আইআরজিসির ড্রোন ইউনিট এবং এয়ার ডিফেন্স ইউনিটের প্রধানরাও ছিলেন।
শুক্রবার ভোর ৪টার দিকে ইসরায়েলের বিমান বাহিনী তেহরানসহ ইরানের আটটি শহরে ব্যাপক হামলা চালায়। বার্তা সংস্থা এএফপি-এর প্রতিবেদনে বলা হয়, ইরানের পরমাণু প্রকল্প এবং সামরিক স্থাপনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রায় ১০০টি লক্ষ্যবস্তুতে এই হামলা পরিচালিত হয়। তেল আবিবের দাবি, ইরান যাতে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করতে না পারে, সেজন্য এটি একটি দীর্ঘমেয়াদী অভিযানের অংশ।
ইরানি সংবাদমাধ্যম ও প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে রয়টার্স জানিয়েছে, ইরানের প্রধান ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্র নাতাঞ্জসহ একাধিক স্থানে বিস্ফোরণ ঘটেছে। এই হামলার পর ইসরায়েল জরুরি অবস্থা জারি করেছে, কারণ ইরান পাল্টা ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাতে পারে বলে আশঙ্কা করছে তারা।
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি এই হামলাকে ‘অপরাধ’ আখ্যা দিয়ে বলেছেন, ইসরায়েলকে এর জন্য ‘কঠোর শাস্তি’ ভোগ করতে হবে। ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, জাতিসংঘের সনদের অধীনে তারা এই হামলার জবাব দেওয়ার অধিকার রাখে।
এ.আই/এম.আর